শনিবার সকালে ঘটনাস্থলে পৌঁছলেন, বিজেপি নেতা সুকান্ত মজুমদার। পৌঁছলেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব-সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
বিভীষিকাময় শুক্রবারের রাত। বালেশ্বরের রেললাইনে শুধু হাহাকার আর লাশের মিছিল। ক্রমেই বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। উদ্ধারকাজ এগোনোর সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে হতাহতের হদিশ। ইতিমধ্যেই মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৩৩-এ। আহত প্রায় ৯০০। আহতদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বালেশ্বরের ফকির মোহন মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। শনিবার সকালে ঘটনাস্থলে পৌঁছলেন, বিজেপি নেতা সুকান্ত মজুমদার। পৌঁছলেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব-সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। এদিন বালেশ্বরের ফকির মোহন মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে আহতদের সঙ্গে দেখা করতেও যান বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। কারোর কারোর সঙ্গে কথাও বলেন তিনি। শাসকদলের পক্ষ থেকে দুর্ঘটনাস্থলে যান রাজ্যের মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া ও তৃণমূল সাংসদ দোলা সেন।
শনিবার রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতে পৌঁছন। এদিন তিনি বলেন,'আপাতত আমাদের প্রধান লক্ষ্য উদ্ধারকাজ এবং ত্রাণ সরাবরাহ। জেলা প্রশাসনের ছাড়পত্রের পর পুনরুদ্ধার শুরু হবে।' পাশাপাশি তিনি আরও বলেন,'একটি বিশদ উচ্চ-স্তরের তদন্ত পরিচালিত হবে এবং রেল নিরাপত্তা কমিশনারও একটি স্বাধীন তদন্ত করবেন।' ইতিমধ্যেই ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃত ব্যক্তিদের পরিবারের জন্য ১০ লক্ষ টাকা সহায়তার কথা ঘোষণা করলেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। যাঁরা এই দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন তাঁদের জন্য ২ লক্ষ টাকা দেওয়া হচ্ছে। যাঁরা সামান্য আহত হয়েছেন তাঁদের ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়া হচ্ছে। এই আর্থিক সহায়তা ঘোষণার পাশাপাশি রেলমন্ত্রী জানিয়েছেন তিনি ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন। বালাসোরে পৌঁছে পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন রেলমন্ত্রী। এই দুর্ঘটনার বিষয়ে খোঁজ নিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও এই দুর্ঘটনার বিষয়ে খোঁজ নিচ্ছেন।
গতকাল করোমন্ডল এক্সপ্রেস (12841) এবং পণ্য ট্রেনের বহনাগা স্টেশনের কাছে সংঘর্ষ হয়। ট্রেনের বেশ কয়েকটি বগি পণ্যবাহী ট্রেনে উঠে যায়। সূত্রের মতে, মোট ১৫টি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে, যার মধ্যে প্রায় ১০০ জনের মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে এবং ৩৫০ জনেরও বেশি আহত হয়েছে। অনেকের আটকে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। ট্রেনটি কলকাতার কাছে শালিমার স্টেশন থেকে চেন্নাই সেন্ট্রাল স্টেশনে যাওয়ার সময় সন্ধ্যা ৭.২০ মিনিটে এই দুর্ঘটনার কথা বলা হচ্ছে। এই বেদনাদায়ক দুর্ঘটনার পরে, সেই ট্রেনগুলির একটি তালিকাও প্রকাশ করা হয়েছে, যেগুলি এখন হয় ডাইভার্ট বা বাতিল করা হয়েছে। গত কয়েক বছরের ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনাগুলির মধ্যে ফেলা হচ্ছে গতকালের ওড়িশার এই ঘটনাকে। দেখে নেওয়া যাক শেষ কয়েক বছরের ভয়াবহতম রেল দুর্ঘটনা কোনগুলি।