Coromandel Express accident: করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় সিবিআই-এর হাতে গ্রেফতার তিন ৩ রেল কর্তা, রুজু অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা

ইতিমধ্যে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৪ ধারা অর্থাৎ অনিচ্ছাকৃত খুনের চেষ্টার মামলা রজু হয়েছে। এছাড়াও একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে এই তিন রেল কর্মীদের বিরুদ্ধে।

করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় এবার বড় পদক্ষেপ সিবিআই-এর। বালেশ্বর দুর্ঘটনার এক মাস পাঁচ দিনের মাথায় দুই রেল কর্তা-সহ সহ তিনজনকে গ্রেফতার করল কেন্দ্রীয় এজেন্সি। শুক্রবার সিবিআই-এর হাতে গ্রেফতার হয়েছেন সিনিয়র সেকশন ইঞ্জিনিয়র অরুণ কুমার মহান্ত, সেকশন ইঞ্জিনিয়র মহম্মদ আমির খান এবং টেকনিশিয়ান পাপ্পু কুমার। তাঁদের বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। ইতিমধ্যে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৪ ধারা অর্থাৎ অনিচ্ছাকৃত খুনের চেষ্টার মামলা রজু হয়েছে। এছাড়াও একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে এই তিন রেল কর্মীদের বিরুদ্ধে।

প্রসঙ্গত, রেলের উচ্চপদস্থ আধিকারিক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন,'আমরা চাই না রেল দুর্ঘটনার তদন্ত কোনওভাবে প্রভাবিত হোক। তদন্তে কোনও হস্তক্ষেপ করা হোক আমরা চাই না। তাই রেলওয়ে সেফটি কমিশনের তদন্তের পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট কখনই বাইরে প্রকাশ করা হবে না।' তিনি জানিয়েছেন,'এখনও সিবিআই তদন্ত চলছে। এখনও পর্যন্ত কোনও অফিসিয়াল কারণ নিশ্চিতভাবে বলা জাচ্ছেনা।' তবে রেলওয়ে সেফটি কমিশনের তদন্তে রিপোর্টে উলেখ করা হয়েছে মানুষের গাফিলতির জেরেই এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। মূলত সিগন্যালিং এবং টেলিকম বিভাগের কর্মীরা সেদিন সেখানে কর্মরত ছিলেন। গাফিলতি ছিল ট্রাফিক বিভাগেরও।'

প্রসঙ্গত, ওড়িশায় করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় আরও বাড়ল মৃতের সংখ্যা। সূত্রের খবর দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল আরও তিনজনের। এবার মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২৭৮। অন্যদিকে ওড়িশার মর্গে বাড়ছে বেওয়ারিশ লাশের সংখ্যা। ওড়িশা সরকার জানাচ্ছে এখনও পর্যন্ত ১০১টি লাশ শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। ৫৫টি পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া গিয়েছে মৃতদেহ। দুর্ঘটনায় আহত হয়েছিলেন মোট ১১০০ জন। এদের মধ্যে প্রায় ৯০০ জনকে ইতিমধ্যেই হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এখনও চিকিৎসাধীন প্রায় ২০০ মানুষ। বালেশ্বর, কটক, ভুবনেশ্বরের নানান হাস্পাতালে ভর্তি রয়েছেন তাঁরা। রেলের পক্ষ থেকে মৃত ও আহতদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা আগেই ঘোষণা করা হয়েছিল। এবার এই মর্মে বিজ্ঞপ্তি জারি করল রেল। কীভাবে রেলের কাছে ক্ষতিপূরণ চাওয়া যাবে অথবা এই সংক্রান্ত যাবতীয় প্রশ্নের উত্তর জানার জন্য হেল্প লাইন নম্বর চালু করল রেল। সোমবারই ক্ষতিপূরণ দাবি করার পদ্ধতি জানিয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করল রেল।