শনিবার দুপুরে বালেশ্বরে পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে হাসপাতালে আহতদের সঙ্গেও দেখা করতে যান তিনি।
করোমন্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে শনিবার বালেশ্বরে পৌঁছলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গোটা ঘটনার জন্য পরোক্ষভাবে রেলকেই দায়ী করলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। এদিন প্রথম থেকেই ভিন্ন সুর শোনা গিয়েছিল মমতার গলায়। এদিন প্রথমেই মমতা বলেছিলেন,'কিছু একটা নিশ্চয়ই হয়েছে। সঠিক তদন্ত হওয়া দরকার।' পরে বালেশ্বরের সোরো হাসপাতালে আহতদের সঙ্গে দেখা করে বেরোনোর সময় ফের সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন তিন। রেলমন্ত্রীর সামনে দাঁড়িয়েই 'রেলে কো-অর্ডিনেশনের অভাব হচ্ছে' বলে দাবি করেন তিনি। শুধু তাই নয় গোটা ঘটনার জন্য পরোক্ষভাবে রেলওয়ের প্রতি মোদী সরকারের উদাসীন মনোভাবকেই দায়ী করলেন তিনি।
শনিবার দুপুরে বালেশ্বরে পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে হাসপাতালে আহতদের সঙ্গেও দেখা করতে যান তিনি। বালেশ্বরের সোরো হাসপাতাল থেকে বেরনোর সময় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তৃণমূল সুপ্রিমো। রেলমন্ত্রীর সামনেই মমতার দাবি রেলে কো-অর্ডিনেশনের অভাব দেখা দিচ্ছে। এর কারণ হিসেবেও একের পর এক যুক্তি দাড় করান তিনি। এদিন মমতা বলেন,'রেল দফতরের কর্তারা যাত্রী সুরক্ষার প্রতি উদাসীন থাকাতেই এই ঘটনা। আমি রেলমন্ত্রী থাকাকালীন-ই অ্যান্টি কোলাইশন যন্ত্রের ব্যবস্থা করেছিলেন, আজও তা সফলভাবে কেন ইনস্টল করা গেল না।' পাশাপাশি আলাদা করে রেলওয়ে বাজেট না হওয়া-সহ কেন্দ্রের একাধিক গাফিলতির কথা তুলে ধরলেন তিনি। মমতার কথায়,'রেলওয়েকে বিশেষভাবে চালনা করা প্রয়োজন। তা না হলে কো-অর্ডিনেশন গ্যাপ হয়ে যায়। আগে রেলওয়েতে আটজন ক্যাবিনেট মিনিস্টারের স্টেটাস ছিল। এখন তো আলাদা করে রেল বাজেটও হয় না।'
এছাড়া এদিন বাংলার বাসিন্দাদের বাড়ি ফেরানোর কথাও বলেন তিনি। সংবাধ্যমকে মুখ্যমন্ত্রী জানান, পশ্চিমবঙ্গ সরকার বাসে করে রাজ্যের বাসিন্দাদের কলকাতায় ফিরিয়ে নিয়ে যাবে। সেখানে তাদের আরও উন্নত চিকিৎসার বন্দোবস্ত করা হবে। এছাড়া আমাদের রাজ্য থেকে প্রচুর মানুষ আটকে রয়েছেন। আমরা প্রতি পরিবারকে পাঁচ লক্ষ করে টাকা দেব। ওড়িশা সরকারের সঙ্গে এবং রেলের সঙ্গে আমরা সব রকমের সহযোগিতা করব।' তিনি আরও বলেন,'আমরা আজ ২৭০টি অ্যাম্বুল্যান্স পাঠিয়েছি। কাল আরও ৪০টি অ্যাম্বুল্যান্স পাঠাবো। আমাদের ৪০ জন ডাক্তার এখানে কাজ করছেন।' পাশাপাশি এই দুর্ঘটনা কী কারণে ঘটল তা খতিয়ে দেখার জন্য উচ্চ পর্যায়ের তদন্তেরও দাবি করেছেন তিনি। মমতার কথায়,'কিছু একটা নিশ্চয়ই হয়েছে। সঠিক তদন্ত হওয়া দরকার। এত মানুষের জীবন কীভাবে চলে গেল তা খতিয়ে দেখতে হবে।'