সোমবারও বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন। ইতিমধ্যেই বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে রেল। রেলের তরফ থেকে জানানো হয়েছে ৫ জুন, সোমবার হাওড়া ভুনেশ্বর রুটে বাতিল একাধিক ট্রেন।
কড়মণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার জেরে গত তিন ধরে প্রায় বিকল হয়েছিল ওড়িশার রেল ব্যবস্থা। ঘটনার জেরে ব্যহত হয়েছিল ওই রুটের সমস্ত ট্রেন চলাচল। অবশেষে ৫১ ঘন্টা পরে বালেশ্বর রুটের আপ ও ডাউন লাইনে একাধিক চলেছে ট্রেন। তবুও এখনও পর্যন্ত স্বাভাবিক হয়নি ট্রেন পরিষেবা। সোমবারও বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন। ইতিমধ্যেই বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে রেল। রেলের তরফ থেকে জানানো হয়েছে ৫ জুন, সোমবার হাওড়া ভুনেশ্বর রুটে বাতিল একাধিক ট্রেন।
কোন কোন ট্রেন বাতিল?
৪ জুন মাঝ রাতে ৫১ ঘন্টার অক্লান্ত পরিশ্রম শেষে ডাউন লাইনে প্রথম ট্রেনের চাকা গড়ায়। সোমবার অবশেষে রেলের তরফ থেকে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয় আপ ও ডাউন দুই লাইনই ট্রেন চলাচলের জন্য প্রস্তুত। তিনদিন পর অবশেষে ওড়িশার বালেশ্বর নিকটবর্তী বাহানাগা স্টেশনের কাছে আপ ও ডাউন দুই লাইনেই চলল ট্রেন।
রবিবার রাতে বালেশ্বর জেলার বাহানাগা স্টেশন থেকে আপ এবং ডাউন লাইনে চলল প্রথম প্যাসেঞ্জার ট্রেন। ঘটনাস্থলেই উপস্থিত ছিলেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। শুক্রবার থেকেই বালেশ্বরে দুর্ঘটনা স্থলে ছিলেন তিনি। রবিবার রাত ১২টা ৫ মিনিট নাগাদ দুই লাইনে ট্রেন চালু হয়। প্রথম ট্রেন চলার পরে হাত জোড় করে ভগবানকে ধন্যবাদ দিতে দেখা যায় রেলমন্ত্রীকে। টুইট করে পরিষেবা স্বাভাবিক হওয়ার কথা জানান অশ্বিনী বৈষ্ণব।
এদিন রেলমন্ত্রী বলেন,'দুর্ঘটনায় যাঁদের প্রাণ গিয়েছে তাঁদের ফিরিয়ে আনতে পারব না। কিন্তু উদ্ধারকারী দল এবং রেলকর্মীরা যেভাবে মনের জোর রেখে পরিস্থিতি সামাল দিয়েছেন, লড়াই করলেন, তাঁদের সকলকে কুর্নিশ জানাচ্ছি।' প্রসঙ্গত, এর আগেও সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছেন,'দুর্ঘটনার কারণ চিহ্নিত করা গিয়েছে। কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি বালেশ্বর ট্রেন দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখবেন। কে বা কারা এর জন্য দায়ী তাও জানা গিয়েছে।' তিনি আরও বলেন,'ইলেকট্রনিং ইন্টারলকিং সিস্টেম পরিবর্তনের কারণেই এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। আপাতত আমাদের প্রথম কাজ পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণে এনে রেল পরিষেবা স্বাভাবিক করা।' শুধু তাই নয়, রবিবার ফের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কটাক্ষের জবাবে রেলমন্ত্রী স্পষ্ট জানান,'কবচের এর সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই, যেটা আগের দিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন। উনি এই বিষয় যতটা জানেন তার উপর ভিত্তি করেই বলেছেন। কিন্তু বিষয়টা সেরম নয়। এক্ষেত্রে পুরোটাই পয়েন্ট মেশিনের উপর নির্ভর করছে। ইলেকট্রনিক ইন্টারলকিং-এর উপর নির্ভর করছে। মূলত ইলেক্ট্রনিক ইন্টারলকিং-এ পরিবর্তনের কারণেই এই দূর্ঘটনা ঘটেছে। কারা এই কাজ করেছে তা তদন্ত সাপেক্ষ। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা বলেছেন তা ঠিক নয়।'