বিস্তারিত রিপোর্টে রেলওয়ে সেফটি কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে সিগন্যালিং এবং টেলিকমিউনিকেশন বিভাগের গাফিলতির জেরেই এই দুর্ঘটনা।
অবশেষে সামনে এল করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার কারণ। রেল কর্মীদের গাফিলতিই উঠে এল রেলের রিপোর্ট। দুর্ঘটনার এক মাসের মাথায় জানা গেল বালেশ্বর ট্রেন বিপর্যয়ের কারণ। রেলের রিপোর্ট ঘিরে ইতিমধ্যেই চাঞ্চাল্য ছড়িয়ে বিভিন্ন মহলে। মানুষের গাফিলতিতেই এত বড় দুর্ঘটনা বলে জানাচ্ছে রেল দফতর। বিস্তারিত রিপোর্টে রেলওয়ে সেফটি কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে সিগন্যালিং এবং টেলিকমিউনিকেশন বিভাগের গাফিলতির জেরেই এই দুর্ঘটনা।
রেলের উচ্চপদস্থ আধিকারিক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন,'আমরা চাই না রেল দুর্ঘটনার তদন্ত কোনওভাবে প্রভাবিত হোক। তদন্তে কোনও হস্তক্ষেপ করা হোক আমরা চাই না। তাই রেলওয়ে সেফটি কমিশনের তদন্তের পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট কখনই বাইরে প্রকাশ করা হবে না।' তিনি জানিয়েছেন,'এখনও সিবিআই তদন্ত চলছে। এখনও পর্যন্ত কোনও অফিসিয়াল কারণ নিশ্চিতভাবে বলা জাচ্ছেনা।' তবে রেলওয়ে সেফটি কমিশনের তদন্তে রিপোর্টে উলেখ করা হয়েছে মানুষের গাফিলতির জেরেই এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। মূলত সিগন্যালিং এবং টেলিকম বিভাগের কর্মীরা সেদিন সেখানে কর্মরত ছিলেন। গাফিলতি ছিল ট্রাফিক বিভাগেরও।'
প্রসঙ্গত, ওড়িশায় করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় আরও বাড়ল মৃতের সংখ্যা। সূত্রের খবর দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল আরও তিনজনের। এবার মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২৭৮। অন্যদিকে ওড়িশার মর্গে বাড়ছে বেওয়ারিশ লাশের সংখ্যা। ওড়িশা সরকার জানাচ্ছে এখনও পর্যন্ত ১০১টি লাশ শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। ৫৫টি পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া গিয়েছে মৃতদেহ। দুর্ঘটনায় আহত হয়েছিলেন মোট ১১০০ জন। এদের মধ্যে প্রায় ৯০০ জনকে ইতিমধ্যেই হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এখনও চিকিৎসাধীন প্রায় ২০০ মানুষ। বালেশ্বর, কটক, ভুবনেশ্বরের নানান হাস্পাতালে ভর্তি রয়েছেন তাঁরা। রেলের পক্ষ থেকে মৃত ও আহতদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা আগেই ঘোষণা করা হয়েছিল। এবার এই মর্মে বিজ্ঞপ্তি জারি করল রেল। কীভাবে রেলের কাছে ক্ষতিপূরণ চাওয়া যাবে অথবা এই সংক্রান্ত যাবতীয় প্রশ্নের উত্তর জানার জন্য হেল্প লাইন নম্বর চালু করল রেল। সোমবারই ক্ষতিপূরণ দাবি করার পদ্ধতি জানিয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করল রেল।