'বাড়িতেই থাকুন', জনতা কারফুতে গোলাপ হাতে আর্জি দিল্লি পুলিশের, প্রশংসায় নেটিজেনরা

  • প্রধানমন্ত্রীর ডাকা জনতা কারফু সফল করতে পথে দিল্লি পুলিশ
  • গোলাপ হাতে দিল্লি পুলিশ
  • রাস্তায় নামা নাগরিকদের বাড়ি ফিরতে আবেদন
  • সমাজিক দূরত্ব মেনে চলতে পরামর্শ 
     

Asianet News Bangla | Published : Mar 22, 2020 9:26 AM IST

করোনাভাইরাসের সংক্রামণ রুখতে রীতিমত বদ্ধপরিকর দিল্লি পুলিশ। স্থানীয় নাগরিকদের সামাজিক দূরত্ব বাজায় রাখে চলতে পরামর্শ দেওয়াই তাদের মূল উদ্দেশ্য। আর সেই জন্য রক্তচক্ষুর বদলে গোলাপকেই আঁকড়ে ধরলেন তাঁরা। রবিবার সকাল থেকেই প্রধানমন্ত্রীর ডাকে  সাড়া দিয়ে গোটা দেশ পালন করছে জনতা কারফু। রাস্তঘাট শুনশান। পথে তেমন পথচারীরও দেখা নেই। এই অবস্থায় যে গুটিকয়েক মানুষ দেশের রাজধানীর রাজপথে নেমেছিল তাদের ঘরে ফেরাতে মরিয়া রাজধানীর পুলিশ। 

রাজপথ থেকে অলিগলিতে নামা পথচারীদের সাবধান করতে এগিয়ে যেতেই দেখা গেল দিল্লির পুলিশকে। আজকের দিনটার জন্য নিজেকে ও প্রত্যেকের পরিবারের সদস্যদের গৃহবন্দি করে রাখার পরামর্শ দিতে দেখা গেল তাঁদের। পথে নামা পথচারীদের উদ্দেশ্যে বললেন, করোনা মোকাবিলায় দয়া করে ঘরে ফিরে যান। বজায় রাখুন সামাজিক দূরত্ব। রাস্তায় নামা বাইক ও গাড়ির চালকদের হাতে তুলে দেন গোলাপ। একই সঙ্গে পথচারীদের উদ্দেশ্যে দিল্লি পুলিশের কর্মী ও আধিকারিকরা বলেন, দেশের সাধারণ নাগরিকদের নিরাপত্তার জন্যই আজ তাঁরা পথে নেমেছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় সাধারণ মানুষকে তাঁদের পাশে দাঁড়াতেও আবেদন জানিয়েছেন দিল্লি পুলিশের আধিকারিক। দিল্লি পুলিশের এই ভূমিকা যথেষ্টই সাড়া ফেলেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।  

 

করোনাভাইরাসের প্রকোপ রীতিমত বাড়ছে দেশে। আক্রান্তের সংখ্যা তিনশো ছাড়িয়ে। এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৬ জনের। মহামারীর দ্বিতীয় ধাপে রয়েছে ভারত। এখনই রাশ না টানলে রীতিমত ভয়াবহ আকার নিতে পারে করোনার সংক্রমণ। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা অত্যন্ত জরুরী। তাই প্রধানমন্ত্রী জনতা কারফুর ডাক দিয়েছেন। খুব প্রয়োজন ছাড়া এই দিনটিতে ঘরের বাইরে না যেতেই আবেদন জানিয়েছেন দেশবাসীর কাছে। এই পরিস্থিতিতে তাঁর ডাকে সাড়া দিয়ে গোটা দেশই ঘরবন্দি রেখেছে নিজেকে। কিন্তু রাজধানী দিল্লিতে যে গুটিকয়েক মানুষ বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল তাদেরও ঘরে ফেরাতে মরিয়া ছিল দিল্লি পুলিশ। তেমনই ছবি দেখা গেল সোশ্যাল মিডিয়ায়। 

Share this article
click me!