বছর শেষে আবারও উদ্বেগ বাড়িয়ে দিল দেশের করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। অক্টোবর থেকে দেশের করোনাভাইরাসের গ্রাফ ছিল নিম্মগামী। কিন্তু গত দুই দিন ধীরে ধীরে তা আবার উর্ধ্বগামী হচ্ছে। গতকাল স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী দেশে ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২০ হাজারের বেশি। কিন্তু বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া তথ্যে দেখা যাচ্ছে ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের সংখ্যা ২১ হাজারের বেশি। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনাভাইহাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২১ হাজার ৮২১ জন। মৃত্যু হয়েছে ২৯৯ জনের।
নতুন স্ট্রেনে আক্রান্ত হয়েছে আরও ৫ জন। তেমনই জানিয়েছেন দিল্লির স্বাস্থ্য মন্ত্রী সত্যসুন্দর জৈন। তিনি বলেছেন ইতিমধ্যেই ব্রিটেনের সঙ্গে উড়ান পরিষেবা ছিন্ন করা হয়েছে। তাই আর বেশি যাত্রী আসার কোনও সম্ভাবনা নেই। তবে ইতিমধ্যেই আক্রান্তদের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের চিহ্নিত করা হচ্ছে। সবরকম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। নতুন ৫ জন আক্রান্ত হওয়ায় এখন দেশে নতুন স্ট্রেনে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ২৫।
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১,০২,৬৬,৬৭৪। মোট মৃতের সংখ্যা ১,৪৮,৭৩৮। অ্যাক্টিভকেসের সংখ্যা ২,৫৭,৬৫৬। আর এখনও পর্যন্ত সুস্থ হয়ে যাওয়া মানুষের সংখ্যা ৯৮ লক্ষের বেশি। মঙ্গলাবর যেখানে দেশে করোনা-আক্রান্তের সংখ্যা ১৬ হাজারের বেসি ছিল বৃহস্পতিবার সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা ২১ হাজারের গণ্ডী পার করেছে। যা কিছুটা হলেও আতঙ্ক বাড়াচ্ছে চিকিৎসকদের। ইতিমধ্যেই বর্ষবরণের অনুষ্ঠানে ভিড় ও জনসমাগত এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।
গত অক্টোবর মাস থেকেই দেশের করোনা গ্রাফ ক্রমশই নিম্নগামী। যা রীতিমত স্বস্তি দিয়েছিলেন বিশেষজ্ঞদের। কিন্তু তারই মধ্যে ব্রিটেনে সন্ধান পাওয়া গেছে করোনাভাইরাসের নতুন প্রজাতি। যা আগের তুলনায় ৭০ শতাংশ বেশ সংক্রামক বলেও দাবি করেছেন বিশেষজ্ঞরা। ব্রিটেনের করোনা স্ট্রেনের নমুনা পাওয়া গেছে এদেশেও। ইতিমধ্যেই ২০ জন বিলেত ফেরত আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া গেছে। ইতিমধ্যেই তাদের বিচ্ছিন্ন করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আক্রান্ত ব্যক্তিদের সংস্পর্শে আসা বাকিদেরও