কুলার চালাতে ভেন্টিলেটর বন্ধ করে দিল পরিবার, কোভিড রোগীর মৃত্যু হতেই ডাক্তারদের উপর র হামলা

গরম তাই কোভিড রোগীর জন্য আনা হল এয়ার কুলার

আর তা চালাতে গিয়েই বন্ধ করে দেওয়া হল ভেন্টিলেটর

পরিবারের ভুলেই মৃত্যু হল সেই রোগীর

তারপর আবার ডাক্তারদের উপরই হামলা করলেন তাঁরা

 

amartya lahiri | Published : Jun 19, 2020 5:37 PM IST

মর্মান্তিক ঘটনা বললেও কম বলা হয়। রাজস্থানের কোটা জেলায় রোগীর পরিবারের লোকেদের মারাত্মক ভুলেই মৃত্য়ু হয়েছে এক কোভিড-১৯ রোগীর বলে অভিযোগ। জানা গিয়েছে তীব্র গরমে ওই রোগীকে আরাম দিতে তাঁর পরিবারের লোকেরা একটি এয়ার কুলার চালাতে গিয়েছিলেন। আর তা করতে গিয়েই রোগীর জীবনদায়ী ভেন্টিলেটরের বিদ্যুত সংযোগ তাঁরা বিচ্ছিন্ন করে দেন। ঘটনাটি ঘটেছে গত ১৫ জুন মহারাও ভীমসিংহ হাসপাতালে (এমবিএস)।

হাসপাতালের মেডিকেল সুপারিনটেনডেন্ট নবীন সাক্সেনা জানিয়েছেন, প্রাথমিক তথ্যের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্তের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে হাসপাতালের ডেপুটি সুপারিন্টেন্ডেন্ট, নার্সিং সুপারিনটেন্ডেন্ট এবং সিএমও-কে রাখা হয়েছে। শুক্রবার বিকেলেই তারা তদন্ত রিপোর্ট জমা দিয়েছে। তা খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সুপারিন্টেন্ডেন্ট। পুলিশকেও এই বিষয়ে জানানো হবে।

ঠিক কী ঘটেছিল ১৫ জুন? হাসপাতালের ডাক্তারদের অভিযোগ, এমবিএস হাসপাতালে ওই দিন ওই কোভিড রোগীর সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। প্রচন্ড গরমে ওই রোগীকে আরাম দিতে চেয়েছিলেন তাঁরা। তাই বারি থেকে একটি এয়ার কুলার এনেছিলেন তাঁরা। সেই কুলারটি চালাতে তাঁরা ভেন্টিলেটরের প্লাগ খুলে দিয়েছিলেন সুইচ বোর্ড থেকে। ব্যাটারিতে কিছু সময় কাজ করে সেই ভেন্টিলেটরটি। কিন্তু, তারপরই সেটি বন্ধ হয়ে যায়। আর ওই রোগীর অবস্থা গুরুতর হয়ে ওঠে।

চিকিত্সকরা রোগীর ওই অবস্থা জানতে পেরেই সেখানে ছুটে এসেছিলেন। তাঁর জীবন বাঁচানোর জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করেন তাঁরা। কিন্তু, শেষ রক্ষা হয়নি। মৃত্য়ু হয় ওই রোগীর। রোগীর মৃত্যু হতেই তাঁর আত্মীয়রা, যাঁদের ভুলেই তাঁর মৃত্যু হল, তাঁরাই আবাসিক চিকিৎসকদের উপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ। ওইসময় কর্তব্যরত ডাক্তার বরুণ, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে এই বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করেছেন। অন্যান্য আবাসিক চিকিত্সকরাও তাঁকে সমর্থন করে জানিয়েছেন রোগীদের স্বজনরা হাসপাতালের কর্মীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছেন। খুব অল্প সময়ের জন্য তাঁরা কর্মবিরতির পথেও গিয়েছিলেন। পরে অবশ্য ফের কাজে যোগ দেন।

 

Share this article
click me!