অতিথি তালিকাতে কাটছাঁট রাষ্ট্রপতি ভবনে
মাত্র ৯০ জনকে আমন্ত্রণ জানান হতে পারে
করোনা সংক্রান্ত স্বাস্থ্য বিধি মেনেই হবে অনুষ্ঠান
করোনাভাইরাসের কারণে যথেষ্ট প্রভাব পড়তে চলেছে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে। কারণ সামাজিক দূরত্ব মেনেই স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান আয়োজিত হবে। আর সেই কারণে এখন থেকেই তৎপর রাষ্ট্রপতি ভবন। রাষ্ট্রপতি ভবন সূত্রের খবর অন্যবার স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত ব্যক্তিত্বের সংখ্যা ১২০০-১৩০০ থাকে। কিন্তু এবার তালিকায় রীতিমত কাঁচি বসানো হয়েছে। রাষ্ট্রপতি ভবন সূত্রের খবর মাত্র ১০০ জনকেই আমন্ত্রণ জানান হবে। আমন্ত্রিতের সংখ্যা ৯০তেও নামতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছেন এক আধিকারিক।
গালওয়ানে ভারত-চিন সংঘর্ষের তদন্ত নিয়ে 'ভুয়ো' খবর, কী বলল ভারতীয় সেনা ..
একজন কন্যা সারাজীবন কন্যাই থেকে যায়, কিন্তু পুত্র-- সম্পত্তির উত্তারাধিকার নিয়ে কী বলল সুপ্রিম কোর্ট
করোনাভাইরাস সংক্রান্ত স্বাস্থবিধি মেনেই অনুষ্ঠিত হবে গোটা অনুষ্ঠানে নিরাপদ সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে হবে। সংবর্ধনা অনুষ্ঠান হবে রাষ্ট্রপতি ভবনের কনভেনশন সেন্টার বা আরবিসিসি-তে।
রাষ্ট্রপতি ভবন সূত্রের খবর সব মন্ত্রীদের আমন্ত্রণ জানান হবে না। প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন আর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ রয়েছেন আমন্ত্রিতের তালিকায়। কিন্তু আমিত শাহ করোনাভাইরাসের আক্রান্ত হওয়ায় তিনি সম্ভবত অনুপস্থিত থাকবেন স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে। একটি সূত্র জানাচ্ছে নরেন্দ্র মোদীর মন্ত্রিসভার বাকি সদস্যদের প্রয়োজনের ভিত্তিতেই আমন্ত্রণ জানান হবে।
কাঁচি চালান হচ্ছে কূটনৈতিকদের তালিকাতেও। রাষ্ট্রপতি ভবন সূত্রের খবর দিল্লিতে ১৭০ বিদেশি রাষ্ট্রদূতের অফিস রয়েছে। অন্যবার অধিকাংশ কূটনীতিকদেরও আমন্ত্রণ জানান হয়। কিন্তু এবার আমন্ত্রিতের কালিকা ১৫ র মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা হবে।
প্রধান বিচারপতি ও আরও দুই বিচারপতি রয়েছেন স্বাধীনতা দিবসের আমন্ত্রিকের তালিকায়। দিল্লি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিকেও আমন্ত্রণ জানান হবে বলে রাষ্ট্রপতি ভবন সূত্রের খবর। একই সঙ্গে কাঁচি চালান হয়েছে আমলাদের আমন্ত্রণের তালিকাতেও। প্রাধান্য পাচ্ছেন সিনিয়র আমলারাই। সাংবাদিকদেরও আমন্ত্রণ করা হবে। কিন্তু সেক্ষেত্রেও মাথার রাখা হবে নিরাপদ শারীতিক দূরত্ব।
স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি ভবনে নৈশভোজেরও ব্যবস্থা থাকে। কিন্তু এবার করোনাভাইরাস সংক্রন্ত স্বাস্থ্য বিধি লাগু হওয়ায় কী ভাবে সমস্ত ব্যবস্থা সম্পন্ন হবে তা নিয়েও আলোচনা চলছে। দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকরা ইতিমধ্যেই পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করছেন।