- Home
- India News
- একজন কন্যা সারাজীবন কন্যাই থেকে যায়, কিন্তু পুত্র-- সম্পত্তির উত্তারাধিকার নিয়ে কী বলল সুপ্রিম কোর্ট
একজন কন্যা সারাজীবন কন্যাই থেকে যায়, কিন্তু পুত্র-- সম্পত্তির উত্তারাধিকার নিয়ে কী বলল সুপ্রিম কোর্ট
বিয়ে হোক আর না হোক, পৈতৃক সম্পতিতে মহিলাদের অধিকার রয়েছে। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে হিন্দু উত্তরাধিকার আইনে ২০০৫ সালের সংশোধনী অনুযায়ী একজন হিন্দু মহিলার পিতামাতার সম্পত্তিতে অধিকার রয়েছে। ২০০৫ সালের সংশোধিত হিন্দু উত্তারাধিকার আইন পৈতৃক সম্পত্তিতে মহিলাদের সমানাধিকার দিয়েছিল। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট আরও স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে এই আইন সংশোধনের সময় বাবা বা বেঁচে থাকুক বা না থাকুক পারিবারিক সম্পত্তিতে বাড়ির পুরুষ সদস্যদের মতই কন্যা সন্তানেরও সমানাধিকার রয়েছে। বিচারপতি অরুণ মিশ্রের নেতত্বাধীন তিন বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়েছে হিন্দু উত্তারাধকার আইন যখন সংশোধন করা হয়েছি, তখন যদিন মহিলার বাবা মারা গিয়ে থাকেন তাহলেও তিনি পৈতৃক সম্পত্তিতে অধিকার পাবেন।
- FB
- TW
- Linkdin
একজন্য কন্যা সর্বদাই কন্যা থাকেন। কিন্তু এক জন ছেলে বিয়ে না হওয়া পর্যন্তই ছেলে। মেয়ে সব সময়ই সম্পত্তির শরিক। তা সে বাবা বেঁচে থাকুন আর না থাকুন। ঐতিহাসিক রায় দানের সময় বলেছেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অরুণ মিশ্র।
মঙ্গলবার অরুণ মিশ্রের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছে২০০৫সংশোধিত হিন্দু উত্তারাধিকার আইন অনুযায়ী বাবা-মায়ের সম্পত্তি সর্বদাই সমানাধিকার পাবেন কন্যা।
সুপ্রিম কোর্ট আরও জানিয়েছে সংশোধিত আইন লাগু হওয়ার আগে যদি বাবা বা মা মারা যান সেক্ষেত্রও পৈতৃক সম্পত্তিতে সমানাধিকার থেকে বঞ্চিত হবেন না পরিবারের কন্যা সন্তান।
সুপ্রিম কোর্ট আরও জানিয়েছে ২০১৮ সালে বলা হয়েছিল হিন্দু উত্তারাধিকার আইন অনুযায়ী একজন কন্যা জন্ম থেকেই পৈতৃক সম্পত্তির সমান ভাগীদার।
হিন্দু উত্তারাধিকার আইন অনুযায়ী ২০০৫ সালের সংশোধনী অনুযায়ী ছেলে ও মেয়ে উভয়ই পৈতৃক সম্পত্তিতে সমান ভাবে অধিকারি। বলা হয়েছিল একজন সম্পত্তির মালিকের পুত্র ও কন্যা জন্মগত ভাবে যৌথ সম্পত্তির অধিকারি হয়ে থাকবে।
প্রশ্নের ভিত্তিতে সুপ্রিম কোর্টের এই মন্তব্য তা হল ২০০৫ সালের সংশোধিক উত্তরাধিকার আইন অনুযায়ী পৈতৃক সম্পত্তিতে মহিলাদের যে যে অধিকার দেওয়া হয়েছিল তা কী কী পূর্বসূচি প্রভাব ফেলে।
সুপ্রিম কোর্ট এদিন আরও জানিয়েছে, ২০০৫ সালে আইনটি সংশোধিত করা হয়েছিল। তাতে বলা হয়েছিল বাবা বেঁচে ছিলেন কিনা তা বিবেচনা না করেই একজন মহিলাকে পারিবারিক সম্পত্তিতে অধিকার যুগিয়েছিল।
এদিন তিন বিচারকের বেঞ্চ বারবার আলোকপাত করেছেন আইন সংশোধনের কারণের ওপর। পাশাপাশি স্পষ্ট করে জানিয়ে দেওয়া হয় ২০০৫ সালের সংশোধিত হিন্দু উত্তরাধিকার আইন সম্পর্কেও।
আগের নিয়ম অনুযায়ী ২০০৫ সালের মধ্যে বাবা জীবিত থাকলে তবেই এই আইন কার্যকর করা যেত। কিন্তু বর্তমানে পৈতৃক সম্পত্তিতে মহিলাদের অধিকার জন্মগত হয়েছে।
১৯৫৬ সালে হিন্দু উত্তারাধিকার আইন সংশোধন করা হয়েছিল ২০০৫ সালে। কিন্তু পরবর্তীকালও বেশ কয়েকবার এই আইন নিয়ে কিছু অস্পষ্টতা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু এদিন সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট করেই জানিয়ে দেয় বাবার সম্পত্তিতে মহিলা অধিকার জন্মগত।