গতি বাড়িয়ে সমতলের দিকে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় নিভার, তার আগেই শুরু হয়েছে প্রকৃতির তাণ্ডব

  • শুরু হয়ে গেছে ঘূর্ণিঝড় নিভারের তাণ্ডব
  •  আছড়ে পড়বে বুধবার সন্ধ্যায় 
  • ৩০টি বিপর্যয় মোকাবিলা দল কাজ করছে 
  • আমফানের থেকে কিছুটা কম শক্তিশালী নিভার 
     

Asianet News Bangla | Published : Nov 24, 2020 4:44 PM IST / Updated: Nov 26 2020, 05:38 PM IST


আমফানের পর বঙ্গপোসাগরে তৈরি হওয়া দ্বিতীয় শক্তিশালি ঘূর্ণি ঝড় হল নিভার। তবে এটি ওড়িশা বা পশ্চমবঙ্গ উপকূলে দিকে না এসে তাণ্ডব চালাতে শুরু করেছে দক্ষিণভারতের উপকূলবর্তী এলাকা। ইতিমধ্যেই তামিলনাড়ুর বিস্তীর্ণ এলাকায় প্রবল বৃষ্টি শুরু হয়েছে। প্রবল বৃষ্টি শুরু হয়েছে চেন্নাইতে। ভারতের আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে আগামিকাল অর্থাৎ বুধবার সন্ধ্যায় তামিলনাড়ু ও পদুচেরি উপকূলে এটি আছড়ে পড়বে। ঘূর্ণিঝড় নিভার মূলত আছড়ে পড়বে কারাইকাল ও মামাল্লাপুরমের মাঝখানে। আর সেই কারণে আগামী ২৪ ঘণ্টা পদুচেরি, তামিলনাড়ু ও অন্ধ্রপ্রদেশে ভারি বৃষ্টি হবে বলেও জানান হয়েছে। 

শক্তিশালি এই প্রাকৃতিক তাণ্ডব মোকাবিলা করার জন্য তৈরি রয়েছে প্রশাসন। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ৩০টি দল ইতিমধ্যে কাজ করতে শুরু হয়েছে। যারমধ্যে তামিলনাড়ুতেই কাজ করছে ১২টি দল।দুটি দল কাজ করছে পদুচেরিতে আর একটি দল কাজ করছে কারাইকাল এলাকায় কাজ করছে। আগামিকাল সমস্ত ছুটি ঘোষণা করেছে তামিলনাড়ু সরকার। 

স্থানীয়রা জানিয়েছেন এদিন সকাল থেকে তীব্র গতিতে ঝোড়ো হাওয়া বইছে। সঙ্গে শুরু হয়েছে প্রবল বৃষ্টি। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বৃষ্টির বেগও বাড়তে শুরু করেছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় ইতিমধ্যেই উপকূলবর্তী এলাকা থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। মঙ্গলবার সকালেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলিকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন। 

আইএমডির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ঘূর্ণিঝড় নিভার যখন সমতলে আছড়ে পড়বে তখন বাতাসের গতি থাকবে ঘণ্টায় ১২০-১৩০ কিলোমিটার। বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেঘ ঘণ্টায় ১৪৫ কিলোমিটার থাকার কথাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না আবহাওয়াবিদরা।  

এই ঘূর্ণিঝড়টির নামকরণ করেছিল ইরান। ২০২০ সালে নিবার হল ভারত মহাসাগরে তৈরি হওয়া চতুর্থ ঘূর্ণিঝড়। এটি আম্ফানের থেকে কিছুটা কম শক্তিশালী বলেও দাবি করেছেন আবহাওয়াবিদরা। গত মে মাসে পশ্চিমবঙ্গে আছড়ে পড়েছিল আম্ফান। তার তাণ্ডবের ক্ষত এখনও রয়ে গেছে বেশ কয়েকটি এলাকায়।

Share this article
click me!