ইউক্রেনে হামলার জন্য ফিরতে পারছেন না চন্দনের পরিবার। চন্দনের মরদেহও সেখানেই আটকে রয়েছে।
ইউক্রেনে ফের মৃত্যু ভারতীয় ছাত্রের। ডাক্তারি পড়ুয়া বাইশ বছর বয়েসী চন্দন জিন্দালের মৃত্যু হয় প্যানিক অ্যাটাকে। ২৪ ঘন্টাও কাটেনি। ফের ভারতীয় ছাত্রের মৃত্যু হল ইউক্রেনে (Ukraine)। বুধবার পঞ্জাবের বার্নালার বাসিন্দা ওই ভারতীয় ছাত্র ইউক্রেনে মারা গেছে বলে খবর মেলে। গত চার বছর (4 Years) ধরে তিনি ইউক্রেনে ডাক্তারি (MBBS) পড়ছিলেন। সেখানেই তিনি মারা (Death) গিয়েছেন বুধবার। জানা গিয়েছে, গত ২ ফেব্রুয়ারি (2nd Feb) মাথায় রক্তজমাট বাঁধার ফলে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন চন্দন। তাঁকে আইসিইউতে রাখা হয়েছিল। চিকিৎসা চলছিল তাঁর।
চন্দন জিন্দাল ইউক্রেনের ভিন্নিতসিয়ার ভিন্নিতসিয়া ন্যাশনাল পাইরোগভ মেমোরিয়াল মেডিকেল ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনা করছিলেন। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, জিন্দাল ইস্কেমিক স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার পরে জরুরি ভিত্তিতে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। এদিনই তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার মরদেহ ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করতে তার বাবা ভারত সরকারকে চিঠি দিয়েছেন। জানা গিয়েছে চন্দন মাসের শুরুর দিকে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তারপরেই তাঁর বাবা শিষণ কুমার ও আত্মীয় কৃষ্ণা কুমার ইউক্রেনে গিয়েছিলেন। সেখানেই আটকে পড়েন তাঁরা।
ইউক্রেনে হামলার জন্য ফিরতে পারছেন না চন্দনের পরিবার। চন্দনের মরদেহও সেখানেই আটকে রয়েছে। রীতিমত আতঙ্কে রয়েছেন গোটা জিন্দল পরিবার। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাই তাঁদের বার্তা সাহায্য করা হোক। তাঁদের এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি দেওয়া হোক।
এদিকে, কিয়েভ ছাড়তে বলা হয়েছিল একদিন আগেই। বুধবার যুদ্ধবিধ্বস্ত খারকিভ ছেড়ে চলে যেতে নির্দেশ দেওয়া হল ইউক্রেনের ভারতীয়দের। রাশিয়ার হামলায় (Russian attack) এক ভারতীয় ছাত্র নিহত হওয়ার একদিন পর ভারত বুধবার পূর্ব ইউক্রেনের শহর (eastern Ukrainian city) খারকিভের (Kharkiv) সমস্ত ভারতীয়দের (Indian) দ্রুত শহর ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে।
টুইটারে ভারতীয় দূতাবাসের জারি করা একটি জরুরি বার্তা অনুসারে খারকিভের ভারতীয় নাগরিকদের কাছের ইউক্রেনীয় শহর যেমন পেসোচিন বা রাশিয়ার বেলগোরোডের বেজলিউডোভকায় চলে যেতে বলা হয়। পশ্চিম ইউক্রেনে সুমি শহরে রয়েছে প্রায় ৫০০ ভারতীয় শিক্ষার্থী। যাদের অধিকাংশই মেডিক্যাল পড়ুয়া। তাঁরা জানিয়েছেন তাঁরা দেশটির একদম পশ্চিম প্রান্তে রয়েছে। এখান থেকে তাঁদের পক্ষে যুদ্ধের মধ্যে প্রায় ২০ ঘণ্টার যাত্রা করে কিয়েভ যাওয়া সম্ভব নয়।
রাশিয়ার আক্রমণের কারণে রেল ও সড়ক যোগাযোগ প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এই অবস্থায় তাঁদের পক্ষে বেশি দূর সফর করা সম্ভব নয়। কিন্তু যত দিন যাচ্ছে পরিস্থিতি ততই খারাপ হচ্ছে। সেই কারণেই তারা ভারতীয় দূতাবাসের কর্মীদের কাছে তাদের দ্রুত উদ্ধারের আবেদন জানিয়েছেন।