অসমে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২, ব্যাঙ্ক-বাস টার্মিনাসে আগুন, গ্রেফতার আরটিআই কর্মী

  • অসমে মৃতের সংখ্যা বেড়ে  হল দুই
  • নতুন করে আগুন ধরানো হল ব্যাঙ্ক-বাস টার্মিনাসে
  • আরও বেশ কিছু এলাকা এল কার্ফুর কবলে
  • গ্রেফতার হলেন আরটিআই কর্মী

amartya lahiri | Published : Dec 12, 2019 4:59 PM IST / Updated: Dec 12 2019, 10:31 PM IST

অসমে পুলিশের গুলি চালনার ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল দুই। নাগরিকত্ব (সংশোধনী) বিলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদকারীদের উপর বৃহস্পতিবার সকালে গুলি চালিয়েছিল পুলিশ। গুরুতর আহত অবস্থায় বেশ কয়েকজন গুলিবিদ্ধ আন্দোলনকারীকে গুয়াহাটি মেডিকেল কলেজ ও হসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। সন্ধ্যাবেলাই তাঁদের একজনের মৃত্যু হয়েছিল। রাতের দিকে আরও একজন শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন।

তবে হাসপাতালের সুপার রমেন তালুকদারের দাবি, একজনকে 'মৃত অবস্থা'-তেই আনা হয়েছিল। অপরজনের মৃত্যু ঘটেছে চিকিৎসাধীন অবস্থায়। তবে নিহত ব্যক্তিদের পরিচয় জানাতে পারেনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

এদিন রাজ্যের বেশ কয়েকটি জেলায় কার্ফু জারি করা ছিল। কিন্তু কয়েক হাজার বিক্ষুব্ধ বিক্ষোভকারী সেই কার্ফু অস্বীকার করে রাস্তায় নামেন। বিভিন্ন এলাকায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ান তাঁরা।

অসমের ডিব্রুগড় জেলার চাবুয়ায় বিধায়ক বিনোদ হাজারিকার বাড়িতে আগুন জ্বালানোর কয়েক ঘন্টা পরই বিক্ষোভকারীরা সেখানকার একটি ব্যাঙ্কের শাখাতেও অগ্নিসংযোগ করে বলে খবর পাওয়া গিয়েছে। এছড়া কর্তৃপক্ষের দাবি, ডিব্রুগড়-এ অসম রাজ্য পরিবহন কর্পোরেশন (এএসটিসি)-এর একটি বাস টার্মিনাস-এও আগুন ধরিয়েছিল আন্দোলনকারীরা। কিন্তু সেনাবাহিনী এবং দমকল বাহিনী দ্রুত পৌঁছে যাওয়ায় কোনও ক্ষতি হওয়ার আগেই সেই আগুন নিবিয়ে ফেলা হয়েছে।

বুধবারই অসমের গুয়াহাটি ও ডিব্রুগড়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য কার্ফু জারি করা হয়েছিল। এদিন সেই তালিকায় জুড়েছে তেজপুর ও ঢেকিয়াজুলি শহরের নাম। আর জোড়াহাট, গোলাঘাট, তিনসুকিয়া, ও চরাইদেও জেলার বিভিন্ন জায়গায় রাত কার্ফু রয়েছে। এদিন কার্ফু অমান্য করায় মানবাধিকার ও তথ্য জানানর অধিকার আন্দোলন-কর্মী তথা কৃষক নেতা অখিল গগৈ-কে অসমের জোড়হাট জেলা থেকে গ্রেফতার করেছে প্রশাসন।

 

Share this article
click me!