সারা বছরই বরফে ঢাকা থাকে লাদাখের সিয়াচেন উপত্যকা। ভারতীয় সেনার একটি ছাউনি ছাড়া এতদিন কিছুই ছিল না এই উপত্যকায়। বিশেষ করে শীতকালে ভারতীয় সেনাদের রসদ পৌঁছে দেওয়াও কঠিন ছিল। কিন্তু ৩৭০ ধারা বাতিলের পর সেই সিয়াচেনই এখন এসে গেল পর্যটকদের হাতের মুঠোয়।
সোমবার একানকার শ্যাোক নদীর উপর 'কর্নেল চেওয়াং রিনচেন ব্রিজে'র উদ্বোধন করলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। ফলে কোনও আবহাওয়াতেই এই এলাকায় যোদাযোদ বজায় রাখতে আর কোনও অসুবিধা রইল না। একই সঙ্গে এই ব্রিজকে সীমান্ত এলাকার 'কৌশলগত সম্পদ' বলে চিহ্নিত করেছেন তিনি।
ব্রিজটির উদ্বোধন করে রাজনাথ সিং জানান, সিাচেন এলাকা এখন থেকে পর্যটনের আর পর্যটকদের জন্য খুলে গেল। সিয়াচেনের বেসক্যাম্প থেকে কুমার পোস্ট এলাকা পর্যন্ত এলাকা এখন পর্যটনের জন্য ব্যবহার করা হবে।
তবে এতে চিনের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের কোনও অবনতি হবে না বলেই দাবি করেছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী। তিনি জানান, সীমান্ত নিয়ে দুই দেশের মধ্যে বিতর্ক রয়েছে বলে মেনে নেন তিনি। কিন্তু তা পরিণত মস্তিষ্কে ও দায়িত্ব নিয়ে সেই বিতর্ক মেটানোর কাজ চলছে। দুই দেশের কেউই পরিস্থিতি হাতের বাইরে যেতে দিতে চায় না। চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-ও মোদীর সঙ্গে মামাল্লাপূরমের ঘরোয়া বৈঠকে কাশ্মীর প্রসঙ্গ তোলেননি। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিয়ে তাদের সাম্প্রতিক বক্তব্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে দাবি করেছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী।