
নয়াদিল্লি। দিল্লির বাতাস আবারও বিষাক্ত হয়ে উঠেছে। রবিবার বাতাসের গতি এতটাই কম ছিল যে দূষণ কণাগুলো উপরে যেতে পারেনি এবং পরিবেশে আটকে গেছে। ফলস্বরূপ, শহরের এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (AQI) আগের দিনের ৩০৩ থেকে বেড়ে ৩৬৬-তে পৌঁছেছে। এই স্তরটি “খুব খারাপ” (Very Poor) বিভাগে পড়ে।
সেন্ট্রাল পলিউশন কন্ট্রোল বোর্ড (CPCB)-এর তথ্য অনুযায়ী, তিনটি জায়গায় বাতাস “গুরুতর” (Severe) বিভাগে পৌঁছেছে, যেখানে AQI ৪০০-এর উপরে রেকর্ড করা হয়েছে। সবচেয়ে বেশি দূষণ ওয়াজিরপুরে (৪১৩) রেকর্ড করা হয়েছে।
দুর্বল বাতাস দিল্লির সবচেয়ে বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এয়ার কোয়ালিটি আর্লি ওয়ার্নিং সিস্টেম (AQEWS) জানিয়েছে যে রবিবার সন্ধ্যায় এবং রাতে বাতাসের গতি ৮ কিমি/ঘণ্টারও কম ছিল। বাতাস এতটাই ধীর ছিল যে দূষণ কণাগুলো ছড়িয়ে পড়তে পারেনি এবং নিচেই জমা হয়ে গেছে। সিস্টেম অনুসারে, যখন ভেন্টিলেশন ইনডেক্স ৬,০০০ m²/s-এর কম হয়, তখন দূষণ কণাগুলো উপরে যেতে পারে না এবং পরিবেশে আটকে যায়। এই কারণেই পুরো দিল্লি এবং এনসিআর-এর বাতাস বিষাক্ত হয়ে উঠেছে।
CPCB-এর সমীর অ্যাপ অনুযায়ী, দিল্লির ২৮টি মনিটরিং স্টেশন ৩০০-এর বেশি রিডিং রেকর্ড করেছে, অর্থাৎ "খুব খারাপ" বাতাস। এর মধ্যে তিনটি স্টেশন তো ৪০০ ছাড়িয়ে গেছে।
দিল্লির বাইরে, হরিয়ানার ধারুহেরা-তে AQI ৪৩৪ রেকর্ড করা হয়েছে, যা “গুরুতর” পরিস্থিতি। वहीं মহারাষ্ট্রের ভিওয়ান্ডিতে এটি ছিল ৩৭৬। এনসিআর-এর অন্যান্য শহরগুলোর অবস্থাও খারাপ ছিল-
দিল্লি সরকার ১ নভেম্বর থেকে BS-III বা পুরোনো ডিজেল যানবাহনের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, এতে কি দূষণ কমবে? বিশেষজ্ঞদের মতে, শুধু যানবাহনের উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে সমস্যার সমাধান হবে না, কারণ স্থানীয় নির্গমন (local emission), নির্মাণ কাজ এবং খড় পোড়ানোর ধোঁয়াও বড় কারণ।
AQEWS-এর অনুমান, ৪ নভেম্বর পর্যন্ত দিল্লির বাতাস “খুব খারাপ” বিভাগেই থাকবে। যদি বাতাসের গতি না বাড়ে, তাহলে আগামী কয়েকদিনে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। আপাতত, বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিচ্ছেন যে-