
নয়াদিল্লি। দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের (IGI) টার্মিনাল ৩ (T3)-এ মঙ্গলবার দুপুরে একটি বড় দুর্ঘটনা এড়ানো গেছে। দুপুর প্রায় ১টার দিকে AISATS গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং কোম্পানির একটি CNG বাসে হঠাৎ আগুন লেগে যায়। বাসটি একটি বিমানের খুব কাছে দাঁড়িয়ে ছিল। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই বাসটি আগুনে পুড়ে যায়, তবে স্বস্তির বিষয় হলো, সেই সময় বাসে কোনো যাত্রী ছিল না। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ সঙ্গে সঙ্গে সতর্কতা জারি করে এবং ঘটনাস্থলে উপস্থিত ARFF (এয়ারক্রাফট রেসকিউ অ্যান্ড ফায়ার ফাইটিং) দল দ্রুত ব্যবস্থা নেয়। মাত্র ২-৩ মিনিটের মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়, যার ফলে একটি বড় দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হয়েছে।
আপাতত আগুন লাগার কারণ জানা যায়নি। ডিসিপি আইজিআই বিচিত্র বীর জানিয়েছেন যে, আগুনের খবর পেয়েই ফায়ার টেন্ডার, সিআইএসএফ এবং বিমানবন্দর পুলিশের দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায়। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, বাসে শুধু চালক ছিলেন এবং তিনিও নিরাপদে বেরিয়ে আসতে পেরেছেন।
এখন বাসটির প্রযুক্তিগত পরিদর্শন (inspection) করা হচ্ছে, যাতে আগুন লাগার সঠিক কারণ জানা যায়। কর্মকর্তারা আশঙ্কা করছেন যে সিএনজি লিক বা বৈদ্যুতিক ত্রুটি এর কারণ হতে পারে, তবে তদন্ত শেষ হওয়ার পরেই এটি নিশ্চিত করা যাবে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা গেছে যে বাসটি এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিমান থেকে কয়েক মিটার দূরে দাঁড়িয়ে ছিল। তবে দিল্লি বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ (DIAL) স্পষ্ট করেছে যে বিমানবন্দরের কোনো কার্যক্রম প্রভাবিত হয়নি এবং সমস্ত ফ্লাইট স্বাভাবিকভাবে চলছিল। তারা এক বিবৃতিতে বলেছে, “আমাদের বিশেষজ্ঞ দল অবিলম্বে আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে। ঘটনার সময় বাসটি খালি ছিল এবং কেউ আহত হয়নি। যাত্রী ও কর্মীদের নিরাপত্তাই আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার।”
এই প্রথমবার নয় যে কোনো গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং গাড়িতে আগুন লেগেছে। গত কয়েক মাসে দেশের অনেক বিমানবন্দরে প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে ছোটখাটো দুর্ঘটনা ঘটেছে। তবে এবার পরিস্থিতি গুরুতর ছিল, কারণ আগুন বিমানের খুব কাছে লেগেছিল।
এখনও পর্যন্ত কোনো ধরনের গাফিলতি বা ষড়যন্ত্রের বিষয় সামনে আসেনি। তবে আইজিআই পুলিশ জানিয়েছে যে সিসিটিভি ফুটেজ এবং প্রযুক্তিগত রিপোর্ট আসার পরেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে যে এটি একটি সাধারণ ত্রুটি ছিল নাকি কারও ভুলের কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।