
Delhi Blast Update: আল-ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয় (Al-Falah University)। সোমবারের আগে পর্যন্ত সারা দেশে খুব বেশি মানুষ এই মেডিক্যাল কলেজে সম্পর্কে জানতেন না। হরিয়ানার (Haryana) ফরিদাবাদে (Faridabad) ধওজ (Dhauj) অঞ্চলে এই বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের মাধ্যমেই সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের পরিকল্পনা করা হয়েছে এবং সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়িতও করা হয়েছে। দিল্লিতে লালকেল্লা (Red Fort) মেট্রো স্টেশনের কাছে বিস্ফোরণের তদন্তে নেমে আল-ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। এক কাশ্মীরী চিকিৎসা অধ্যাপক গ্রেফতার হওয়ার পরেই এই বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে তদন্ত শুরু হয়। এরপর প্রায় ২,৯০০ কিলোগ্রাম বিস্ফোরক উদ্ধার করেছেন তদন্তকারীরা। এছাড়া বেশ কয়েকটি অ্যাসল্ট রাইফেল, পিস্তল, বোমা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার হয়েছে। জম্মু ও কাশ্মীর (Jammu and Kashmir) থেকে হরিয়ানা হয়ে উত্তরপ্রদেশে (Uttar Pradesh) সন্ত্রাসবাদের জাল ছড়িয়ে পড়েছে বলে সন্দেহ তদন্তকারীদের।
তদন্তকারীদের সন্দেহ, সন্দেহভাজন চিকিৎসকদের সঙ্গে পাকিস্তানের (Pakistan) কুখ্যাত জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদ (Jaish-e-Mohammed) ও আনসার গজবত-উল-হিন্দের (Ansar Ghazwat-ul-Hind) সঙ্গে যোগ ছিল। চিকিৎসকরা কীভাবে মেডিক্যাল কলেজের পরিকাঠামো ব্যবহার করে জঙ্গি কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছিল, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
তদন্তকারীদের সন্দেহ, সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত চিকিৎসকরা আল-ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবরেটরিতে আরডিএক্স-এর (RDX) মতো শক্তিশালী বিস্ফোরক তৈরি করেছে। এই মেডিক্যাল কলেজের কাছেই এক মসজিদ আছে। সেই মসজিদের এক ধর্ম প্রচারককে জেরা করা হচ্ছে। তার সঙ্গে জঙ্গিদের যোগ রয়েছে বলে সন্দেহ তদন্তকারীদের। আল-ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক মহিলা চিকিৎসকের ভূমিকাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। যে গাড়িতে বিস্ফোরণ ঘটেছে, এই মহিলা চিকিৎসকই সেই গাড়ির সর্বশেষ মালিক বলে জানা গিয়েছে। এই মহিলা চিকিৎসককে জেরা করছে জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ। চিকিৎসকরা যে জঙ্গি মডিউল গড়ে তুলেছে, তার সঙ্গে আর কারা জড়িত, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। দেশের অন্য কোথাও হামলা চালানোর চক্রান্ত করা হচ্ছে কি না, সে বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।