
দিল্লির লালকেল্লার কাছে গাড়ি বিস্ফোরণের ঘটনায় ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। তদন্তকারী সংস্থাগুলো এখন এই মামলায় পাকিস্তান-ভিত্তিক জইশ-ই-মহম্মদ জঙ্গি গোষ্ঠীর ভূমিকার ওপর নজর দিয়েছে। জানা গেছে, অভিযুক্তদের কাছে বোমা তৈরির নির্দেশিকা পাকিস্তান থেকে পাঠানো হয়েছিল। তদন্তের বিবরণ অনুযায়ী, "হানজুল্লাহ" নামে এক জইশ জঙ্গি হ্যান্ডলার প্রধান অভিযুক্ত ডক্টর মুজাম্মিল শাকিলকে বোমা তৈরির ভিডিও এবং এনক্রিপ্টেড মেসেজ পাঠিয়েছিল। তদন্তকারীরা মনে করছেন, হানজুল্লাহ আসল নাম পরিবর্তন করে কাজ করছে। তার ডিজিটাল পদচিহ্ন খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে।
অক্টোবর মাসে জম্মু ও কাশ্মীরের নওগাম এলাকায় "কমান্ডার হানজুল্লাহ ভাই" নামে পোস্টার দেখা গিয়েছিল। এর ফলে এই জঙ্গি নেটওয়ার্কটি যে আগে থেকেই সক্রিয় ছিল, সেই সন্দেহ আরও দৃঢ় হয়। তদন্তে আরও একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে। জানা গেছে, এই হ্যান্ডলার শোপিয়ানের মৌলভী ইরফান আহমেদের মাধ্যমে মুজাম্মিলের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল। তদন্তকারীরা বলছেন, এই ধর্মগুরু তরুণ ডাক্তারদের ব্রেনওয়াশ করে একটি "হোয়াইট কলার টেরর মডিউল" তৈরি করেছিল।
কর্মকর্তাদের মতে, রেকর্ড বলছে ২০২১-২০২২ সালের মধ্যে মুজাম্মিলের আনসার গজওয়াত-উল-হিন্দ নামে একটি আইএসআইএস-এর সঙ্গে যুক্ত গোষ্ঠীর সঙ্গে সম্পর্ক ছিল। ২০২৩-২০২৪ সালে সে অস্ত্র কিনে একটি স্বাধীন জঙ্গি সেল তৈরির পরিকল্পনা করেছিল। তদন্তের সময় ৩৬০ কেজি বিস্ফোরক পদার্থ এবং ২০ কুইন্টাল এনপিকে সার উদ্ধার করা হয়েছে।
বর্তমানে তদন্ত চলছে। বিদেশী জঙ্গি হ্যান্ডলার, টাকার উৎস এবং এনক্রিপ্টেড কমিউনিকেশন নেটওয়ার্ক শনাক্ত করার কাজ চলছে। তদন্তকারী সংস্থাগুলো এটিকে একটি বড় আন্তর্জাতিক জঙ্গি ষড়যন্ত্র বলে মনে করছে।