দিল্লি পুলিশের উর্ধ্বতন আধিকারিক জানিয়েছেন, মামলাতে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৭৯ ধারায় করা হয়েছে। একজন মহিলার শালীনতাকে অপমান করার উদ্দেশ্য শব্দ বা অঙ্গভঙ্গি করার বিরুদ্ধে এই ধারায় মামলা দায়ের করা হয়ে থাকে।
জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সেন রেখা শর্মার বিরুদ্ধে 'পাজামা' মন্তব্যের জন্য দিল্লি পুলিশের কোপে তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ মহুয়া মৈত্র। তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই চালু হওয়া নতুন ন্যায় সংহিতার ৭৯ ধারায় এফআইআর দায়ের করেছে দিল্লি পুলিশ।
দিল্লি পুলিশের উর্ধ্বতন আধিকারিক জানিয়েছেন, মামলাতে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৭৯ ধারায় করা হয়েছে। একজন মহিলার শালীনতাকে অপমান করার উদ্দেশ্য শব্দ বা অঙ্গভঙ্গি করার বিরুদ্ধে এই ধারায় মামলা দায়ের করা হয়ে থাকে। দিল্লি পুলিশ আরও জানিয়েছে, তারা মহুয়া মৈত্রের টুইটে পোস্টটি দেখেছে। প্রাথমিকভাবে পরীক্ষার পরই মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে বলেও জানিয়েছে। চিঠি দেওয়া হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া জায়েন্ট এক্সকেও।
ঘটমার সূত্রপাত হাথরসে পদপিষ্ট হয়ে ১২১ জনের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে। এই ঘটনার পরই পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারম্যান রেখা শর্মা। সেই ঘটনার ভিডিও প্রকাশ্যে আসে। সেই সময়ই সরব হয় হন নেটিজেনরা। তাদের মধ্যে ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদও। মহুয়া মৈত্র টুইট করে বলেন, 'তিনি এখন তাঁর বসের পাজামা ধরতে ব্যস্ত।' মহুয়ার এই মন্তব্যকে কেন্দ্র করেই বিতর্ক তৈরি হয়েছে। অভিযোগ ওঠে একজন মহিলার মানহানির। এই ঘটনায় লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাকেও চিঠি দেয় জাতীয় মহিলা সদস্যরা। পাশাপাশি কৃষ্ণনগের সাংসদের বিরুদ্ধে দিল্লি পুলিশেও অভিযোগ দায়ের করা হয়। তিন দিনের মধ্যে কমিশনকে রিপোর্ট দিতেও বলা হয়েছিল।
সূত্রের খবর রেখা শর্মার অভিযোগের ভিত্তিতেই মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে ন্যায় সংহিতার ৭৯ ধারায় এফআইআর করেছে দিল্লি পুলিশ। বলা যেতেই পারে সাংসদ হিসেবে শপথ গ্রহণের মাত্র এক মাসের মধ্যেই দিল্লি পুলিশের কঠোর পদক্ষেপে বিপাকে পড়ে চলেছেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ মহুয়া মৈত্র।