৭ই জুলাই দ্বারকায় যে ভয়াবহ ডাকাতির ঘটনা ঘটল, তা ভুলতে পারছেন না প্রতিবেশিরা। গৃহবধূর মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে পণবন্দি করে রাখা হয় গোটা পরিবারকে।
পরপর যেন ঘটে গেল হিন্দি সিনেমার দৃশ্য। এখনও আতঙ্ক থেকে বেরোতে পারছেন না দিল্লির দ্বারকার উত্তম নগরের ওই পরিবার। চোখ বুজলেই চোখের সামনে ভেসে উঠছে তাঁদের পণবন্দি হওয়ার দৃশ্য। ৭ই জুলাই দ্বারকায় যে ভয়াবহ ডাকাতির ঘটনা ঘটল, তা ভুলতে পারছেন না প্রতিবেশিরাও।
যে বাড়িতে ডাকাতি হয়, সেখানে শুধু লুঠ করাই নয়, রীতিমতো গৃহবধূর মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে পণবন্দি করে রাখা হয় গোটা পরিবারকে। চলে টাকা পয়সা, গয়নাগাঁটির অবাধ লুঠ। ঘটনার চারদিন পরে দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে পেরেছে দিল্লি পুলিশ। তবে এই ঘটনায় আরও যারা জড়িত, তাদের প্রত্যেককে উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
৭ই জুলাই চারজন সশস্ত্র দুষ্কৃতী মুখ কালো কাপড়ে বেঁধে বিনোদ নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে ঢোকে। তখন বাড়িতে উপস্থিত ছিলেন বিনোদের স্ত্রী সীমা, মা সাবিত্রী দেবী ও দুই নাবালক সন্তান ও আত্মীয় শচিন। ইলেকট্রিশিয়ান সেজে বাড়িতে ঢোকে ওই চারজন। তারপরেই নিজেদের স্বরূপ দেখায় তারা। পরিবারের লোকেদের হাত বেঁধে শচিনকে পণবন্দি করে তারা। যতক্ষণ না সীমা দেবী লকারের কোড জানান, ততক্ষণ অত্যাচার চলতে থাকে। এরপর সর্বস্ব লুঠ করে পালায় তারা।