দিল্লিতে নাগরিকত্ব আইন বিরোধী বিক্ষোভ নিয়ে এবার চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এল দিল্লি পুলিশের তদন্তে। দিল্লি পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট- এর দাবি অনুযায়ী, দিল্লিক সীমাপুরী এবং সীলামপুরে গত মাসের হিংসার ঘটনার পিছনে রয়েছে বেআইনি বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা।
একটি সর্বভারতীয় ইংরেজি সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দিল্লি পুলিশের গঠিত সিট এরকম অন্তত পনেরোজন অনুপ্রবেশকারীকে চিহ্নিতও করে ফেলেছে। অভিযোগ, এরাই জনতার ভিড়ে মিশে গিয়ে নাগরিকত্ব আইন বিরোধী বিক্ষোভে হিংসায় উস্কানি দিয়েছিল।
দিল্লি পুলিশের সূত্র উদ্ধৃত করে দাবি করা হয়েছে, শুক্রবারের নমাজ পাঠের পরে পরিকল্পিতভাবেই গন্ডগোল পাকিয়েছে এই অনুপ্রবেশকারীরা। তাদেরকে খুব শিগগিরই গ্রেফতারও করা হবে। এরা প্রত্যেকেই বেআইনিভাবে এ দেশে রয়েছে বলেও অভিযোগ তদন্তাকারী দলের।
আরও পড়ুন- 'শরণার্থীরা আপনার কী ক্ষতি করেছে', মমতাকে পাল্টা প্রশ্ন অমিতের
গ্রেফতারের পরে আদালতের অনুমতি নিয়ে অভিযুক্তদের জেরা করতে চান তদন্তকারী অফিসাররা। দাঙ্গি ছড়িয়ে দেওয়ার পিছনে মদত দিতে কোথা থেকে অর্থের জোগান আসছিল, আপাতত সেটাই খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন তদন্তকারী অফিসাররা। তাঁদের ধারণা, এর পিছনে কোনও বিদেশি শক্তি আছে।
সীলামপুরে হিংসার ঘটনার পিছনে যে বাংলাদেশি মুসলিমরা রয়েছে, এ কথা স্বীকার করে নিয়েছে দিল্লি পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ-ও। নাগরিকত্ব আইন পাশ হওয়ার পরে যারা সবথেকে বেশি বিপদে পড়বে, সেরকম বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের একটি দলই পরিকল্পিতভাবে সীলামপুর এলাকায় হিংসা ছড়়িয়ে দিয়েছিল বলে অভিযোগ পুলিশের।
মুখ ঢাকা অবস্থায় এরকমই বেশ কয়েকজন সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করেছে বলেও অভিযোগ পুলিশের। এদের মধ্যে কয়েকজনের বিরুদ্ধে অতীতে অপরাধের সঙ্গে যুক্ত থাকার প্রমাণও পেয়েছে পুলিশ।