শ্রদ্ধার কাটা মাথার সন্ধানে রবিবার সকাল থেকেই তৎপর দিল্লি পুলিশ। মেবরাউলির একটি পুকুরে শ্রদ্ধার মাথার সন্ধানে তল্লাশি চালাচ্ছে দিল্লি পুলিশ। আফতাব পুনাওয়ালা তদন্তকারীদের নাকি প্রমাণ লোপাটের জন্য শ্রদ্ধার কাটা মাথা একটি পুকুরে ফেলে দিয়েছে।
শ্রদ্ধা ওয়াকার হত্যাকাণ্ডের তদন্ত এখনও পর্যন্ত অব্যাহত রয়েছে। দিল্লি পুলিশ এখনও সন্ধান পায়নি শ্রদ্ধার কাটা মাথার। তবে শ্রদ্ধা বেশ কিছু জামাকাপড় উদ্ধার করেছে আফতাবের আর শ্রদ্ধার নামে ভাড়া নেওয়া ফ্ল্যাট বাড়ি থেকে। উদ্ধার হয়েছে একটি ধারালো অস্ত্র। দিল্লি পুলিশের জেরায় কিছুটা হলেও ভেঙে পড়েছে আফতাব। সূত্রের খবর সে জানিয়েছেন ধারালো অস্ত্র দিয়েই শ্রদ্ধার দেহের ৩৫ টি টুকরো করা হয়েছে। কিন্তু শ্রদ্ধার কাটা মণ্ড সম্পর্কে এখনও দিল্লি পুলিশের হাতে তেমন কোনও জোরালো তথ্য নেই।
শ্রদ্ধার কাটা মাথার সন্ধানে রবিবার সকাল থেকেই তৎপর দিল্লি পুলিশ। মেবরাউলির একটি পুকুরে শ্রদ্ধার মাথার সন্ধানে তল্লাশি চালাচ্ছে দিল্লি পুলিশ। সূত্রের খবর শ্রদ্ধার বয়ফ্রেন্ড তথা অভিযুক্ত আফতাব পুনাওয়ালা তদন্তকারীদের নাকি জানিয়েছে সে প্রমাণ লোপাটের জন্য শ্রদ্ধার কাটা মাথা একটি পুকুরে ফেলে দিয়েছে। আর সেই কথার ওপর ভিত্তি করেই দিল্লি পুরসভার একটি পুকুরে তল্লাশি চালাচ্ছে। পুকুরের জল ইতিমধ্যেই ছেঁচে ফেলা হয়েছে।
অন্যদিকে দিল্লি পুলিশের একটি দল ইতিমধ্যেই মুম্বইতে পৌঁছে গেছে। খুনের তদন্তের জন্য আরও তথ্য একত্রিত করছে। কারণ শ্রদ্ধা আর আফতাবের আলাপ বা প্রেম পর্বের শুরু মুম্বইতে। একটি ডেটিং অ্যাপের মাধ্যমে আলাপ হয়েছিল। তারপরই তাদের প্রেম। পরিবারের অমতেই তারা সম্পর্ক চালিয়ে যায়। মুম্বই থেকে চলে আসে দিল্লিতে। সেখানে লিভ-ইন সম্পর্ক স্থাপন করে একই সঙ্গে থাকতে শুরু করে।
কিন্তু মে মাসের আগে থেকেই শ্রদ্ধা আর আফতাবের সম্পর্কে চিড় ধরছিল। শ্রদ্ধা আফতাবকে বিয়ে করার জন্য চাপ দিচ্ছিল। কিন্তু আফতার বিয়ের সম্পর্কে রাজি ছিল না। অন্যদিকে সংসার খরচ নিয়েও দুজনের মধ্যে গত ১৮ মে তীব্র ঝগড়া হয়। তারপরই আফতার শ্রদ্ধাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। তারপর দেহ ৩৫টি টুকরো করে কেটে ফেলে। একটি নতুন ফ্রিজ কিনে সেখানেই রেখেছিল দেহাংশগুলি। ১৮টি প্ল্যাস্টিকে ভরা ছিল দেহের অংশ। প্রতিদিন রাত ২টোর সময় আফতার শ্রদ্ধার দেহের অংশ জঙ্গলে ফেলে দিয়ে আসত। প্রমাণ লোপাটের উদ্দেশ্যেই এই পন্থা নিয়েছিল আফতাব। বর্তমানে দিল্লি পুলিশের হেফাজতে রয়েছে আফতার। সোমবার তার নার্কো পরীক্ষা হওয়ার কথা রয়েছে।
নার্কো টেস্টঃ
পুরো কথা হল নারকোঅ্যানালাইসিস টেস্ট।
পরীক্ষা পদ্ধতিঃ
সোডিয়াম পেন্টোথাল নামের একটি ড্রাগ অভিযুক্ত আফতাব পুনাওয়ালার শরীরে ইনজেকশনের মাধ্যমে প্রবেশ করান হবে। এই ওষুধের কারণে কিছুটা হলেও সম্মহনী বা অবসাদগ্রস্ত হয়ে যাবে অভিযুক্ত। এই অবস্থায় অভিযুক্ত মিথ্যা কথা বলতে পারবে না। আফতাব পুলিশের জেরায় সত্য কথা বলবে দাবি বিশেষজ্ঞদের।
সোডিয়াম পেন্টোথাল- এই একটি ওষুধ- যার মাধ্যমে যে কোনও মানুষকে দ্রুত অজ্ঞান করে দেওয়া হয়। এটি সাধারণত অপারেশনের সময় রোগীর ওপর প্রয়োগ করা হয়। এটি বারবিটুরেট শ্রেণীর ওষুধ। যা স্নায়ুতন্ত্রকে অবসন্ন করে দিতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে এই ওষুধ প্রয়োগ করতে অভিযুক্ত কখনই মিথ্যা কথা বলার মত অবস্থায় থাকে না। তবে অনেকক্ষেত্রে এই পরীক্ষা সত্ত্বেও অভিযুত্ত মিথ্যা কথা বলতে পারে।