
রাজস্থানের ডিগ থেকে গ্রেফতার হওয়া পাকিস্তানি গুপ্তচরকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল। জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, অভিযুক্ত গুপ্তচর পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার এক সপ্তাহ আগে ভারতে ফিরে এসেছিল। জিজ্ঞাসাবাদে এখন পর্যন্ত জানা গেছে, কাসিম গুপ্তচরবৃত্তির বিনিময়ে পাকিস্তান থেকে বিভিন্ন কিস্তিতে প্রায় ২ লক্ষ পাকিস্তানি রুপি পেয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের সময় কাসিম বলেছে, পহেলগাঁও হামলার পর যখন জঙ্গি ও সন্দেহভাজনদের ধরপাকড় শুরু হয়েছিল সেইসময়ই সে তার ফোন থেকে সমস্ত তথ্য মুছে ফেলেছিল। যাইহোক, পুলিশ তার দাবি যাচাই করার জন্য ফোনের ফরেনসিক পরীক্ষা করবে।
পুলিশ পাকিস্তানে কাশিমের সঙ্গে কাদের কাদের যোগাযগ ছিল তা জানতে ও শনাক্ত করতে তার মোবাইল ফোনের ফরেনসিক রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছে। পুলিশ ভারতে তার যোগাযোগকারীদের জানতে কাসিমের কল ডিটেল রেকর্ড (CDR) খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কাসিমের আত্মীয়রা পাকিস্তানে থাকে। এর সুযোগ নিয়ে সে পাকিস্তানে গিয়ে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-এর সংস্পর্শে আসে। জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, আইএসআই কাসিমকে বলেছে যে তার ভাই আনিস তাদের জন্য কাজ করে। আইএসআই কাসিমকে তার ভাইয়ের মতো তাদের সঙ্গে যোগ দিতে বলেছে, কারণ সে একজন 'মৌলভি' এবং লোকেরা তাকে বিশ্বাস করে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, তার ভাই পলাতক। সূত্র মতে, অভিযুক্তকে গুপ্তচরবৃত্তির যথাযথ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল। তাকে সেনাবাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন এবং কীভাবে ধরা না পড়ে তা প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল।
অপারেশন সিঁদুরের পর, বিভিন্ন রাজ্যের পুলিশ পাকিস্তানি গুপ্তচরদের গ্রেফতার করছে। ১৮ মে, হরিয়ানা পুলিশ পাকিস্তানের জন্য গুপ্তচরবৃত্তি করার অভিযোগে বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে। সাম্প্রতিক গ্রেফতারের মধ্যে, ভারতের বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে ইউটিউবার জ্যোতি মালহোত্রা শিরোনাম হয়েছেন। ২৬ মে, হরিয়ানার হিসার জেলা আদালত জ্যোতিকে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠিয়েছে এবং তার মামলার প্রথম শুনানির তারিখ ৯ জুন নির্ধারিত হয়েছে।