
Delhi Red Fort Metro Station Blast: পেশায় চিকিৎসক হয়ে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে মানুষ মেরে ফেলল! দিল্লির লালকেল্লা মেট্রো স্টেশনের কাছে গাড়ি বিস্ফোরণে এমনই অভিযোগ উঠেছে। সন্দেহভাজন ড. উমর মহম্মদের (Dr. Umar Mohammad) প্রথম ছবি ও সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ্যে এসেছে। এই চিকিৎসকই বিস্ফোরণের সঙ্গে যুক্ত বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। ৩৬ বছর বয়সি এই চিকিৎসক জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) পুলওয়ামার (Pulwama) বাসিন্দা। সোমবার সন্ধেবেলা লালকেল্লার কাছে যে গাড়িতে বিস্ফোরণ হয়, সেই সাদা রঙের হুন্ডাই আই ২০ (Hyundai i20) গাড়ির মালিক এই উমর। এই বিস্ফোরণে অন্তত নয় জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ২০ জনেরও বেশি জখম। বিস্ফোরণের পর তদন্ত শুরু হয়েছে। উমরের ভূমিকা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, ১৯৮৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি তার জন্ম। সে আল-ফালাহ মেডিক্যাল কলেজের ছাত্র ছিল। সে জঙ্গি কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত সন্দেহে গ্রেফতার হওয়া অপর দুই চিকিৎসক ড. আদিল আহমেদ রাদার (Dr. Adeel Ahmad Rather) ও ড. মুজাম্মিল শাকিলের (Dr. Mujammil Shakil) ঘনিষ্ঠ ছিল বলে জানা গিয়েছে। তারা 'হোয়াইট কলার টেরর মডিউল' গড়ে তুলেছিল বলে দাবি তদন্তকারীদের। তাদের গ্রেফতার করেছে জম্মু ও কাশ্মীর ও হরিয়ানা পুলিশের (Haryana Police) যৌথবাহিনী।
প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, দিল্লিতে বিস্ফোরণের আগে ফরিদাবাদে (Faridabad) ছিল উমর। তবে সঙ্গীদের গ্রেফতার হওয়ার খবর পেতেই সে ফরিদাবাদ থেকে পালিয়ে যায়। সে ভয় পাচ্ছিল, সঙ্গীদের জেরা করে তার কথাও জানতে পারবেন তদন্তকারীরা এবং তাকে গ্রেফতার করা হবে। এই আশঙ্কাতেই সে পালিয়ে যায় এবং বিস্ফোরণ ঘটায়। দিল্লিতে বিস্ফোরণ ঘটানোর পরিকল্পনা ছিল না। কিন্তু সঙ্গীরা গ্রেফতার হওয়ার পর মরিয়া হয়ে বিস্ফোরণ ঘটায় উমর। তদন্তকারীদের আরও সন্দেহ, এই বিস্ফোরণে উমরের দুই সঙ্গী ছিল। তারা গাড়ির মধ্যে ডিটোনেটর রেখেছিল।
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, যে গাড়িতে বিস্ফোরণ ঘটে, সেটি সোমবার লালকেল্লার কাছে তিন ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে রাখা ছিল। সোমবার বিকেল তিনটে বেজে ১৯ মিনিটে গাড়িটি রাখা হয়। তারপর সাড়ে ছ'টা নাগাদ বিস্ফোরণ ঘটে।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।