ট্যাক্সি-অটো থেকে ধাক্কা মেরে নামিয়ে দেওয়া হল যাত্রীদের, পরিবহন ধর্মঘটে প্রায় অচল রাজধানী

  • একদিনের পরিবহন ধর্মঘটে প্রায় অচল হয়ে পড়ল রাজধানী
  • রাস্তায় দেখা নেই বেসরকারি বাসে, ট্যাক্সি, অটো, ওলা-উবারও
  • যেগুলি চলছে তার থেকে ধাক্কা মেরে যাত্রীদের নামিয়ে দিচ্ছেন ধর্মঘটিরা
  • দিল্লি-সহ নয়ডা, গাজিয়াবাদ, গুরুগ্রাম - সব জায়গাতেই এক অবস্থা

amartya lahiri | Published : Sep 19, 2019 10:03 AM IST / Updated: Sep 19 2019, 03:39 PM IST

রাস্তায় দেখা নেই বেসরকারি বাসের। নেই ট্যাক্সি-অটো, এমনকী ওলা-উবারও। যে দু-একটা চলছে, তাতে উঠেও নিস্তার নেই। রাস্তা আটকে রীতিমতো ধাক্কা মেরে যাত্রীদের নামিয়ে দিচ্ছেন ধর্মঘটিরা। শুদু দিল্লি নয়, আশপাশের নয়ডা, গাজিয়াবাদ, গুরুগ্রাম - সব জায়গাতেই এক দৃশ্য। ট্রাফিক আইন ভাঙায় মাত্রাতিরিক্ত জরিমানা বৃদ্ধির প্রতিবাদে একদিনের পরিবহন ধর্মঘটে প্রায় অচল হয়ে পড়ল রাজধানী।

সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেক দিল্লিবাসীই তাঁদের নাকাল হওয়ার অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন। বেশ কিছু ভিডিও-তে দেখা যাচ্ছে ধর্মঘটে অংশ নেওয়া পরিবহন কর্মীরা রাস্তায় বের হওয়া ট্যাক্সি-অটো থামিয়ে জোর করে যাত্রীদের নামিয়ে দিচ্ছেন। ওলা-উবার চালকরা যাঁরা রাস্তায় গাড়ি বের করেছেন, তাদের রীতিমো প্রাণের হুমকিও দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এমনকী এই বিষয়ে পুলিশে ফোন করা হলেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে  অভিযোগ।

এই অবস্থায় স্বাভাবিকভাবেই দিল্লি ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশন ও দিল্লিমেট্রোতে অন্যান্য দিনের তুলনায় অনেকটাই ভিড় বেড়েছে। যাঁকা নিয়মিত চার্টর্ড বাসে অফিস যান, তাঁদেরও এদিন সরকারি পরিবহন পরিষেবার উপরই নির্ভর করতে হয়েছে। পরিবহন ধর্মঘটের কারণে বেশ কিছু স্কুলে আগে থেকেই ছুটি ঘোষণা করা হয়েছিল। যেগুলি খোলা রয়েছে, সেগুলিতেও এদিন ছাত্রছাত্রী নেই বললেই চলে।  

সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকার পরিবহন আইন ঢেলে সাজিয়েছে। নতুন মোটর ভেহিকেল্স অ্যাক্ট ২০১৯ অনুযায়ী আইন ভাঙলে মোটা টাকা জরিমানা দিতে হচ্ছে। এই জরিমানার পরিমাণ কমানোর দাবিতেই বৃহস্পতিবার ২৪ ঘন্টার জন্য পরিবহণ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে ইউনাইটেড ফ্রন্ট অব ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশন (ইউএফটিএ)। এই সংগঠনের আওতায় মোট ৪১টি যাত্রী ও মাল পরিবহণ সংগঠন রয়েছে। ইউএফটিএ-র সাধারণ সম্পাদক শামলাল গোলা জানিয়েছেন, তাঁরা গত ১৫ দিন ধরে কেন্দ্রীয় সরকার ও দিল্লির রাজ্য সরকারকে এই জরিমানার পরিমান পুনর্বিন্যাসের জন্য আবেদন করেছেন। কিন্তু কেউই কোনও কথা কানে নেয়নি। তার জন্যই তাঁদেরকে ধর্মঘটের রাস্তায় যেতে হয়েছে।

 

Share this article
click me!