ক্রমশই যেন মৃত্যুপুরীতে পরিণত হচ্ছে বিহারের মুজঃফরপুর ও তার সংলগ্ন এলাকা। সাম্প্রতিক অবস্থা বলছে এই মৃত্যু মিছিল যে কোথায় শেষ হবে সেটাই এখন সবথেকে বড় প্রশ্ন। বাড়তে থাকা শিশু মৃত্যুর সংখ্যাই বলে দিচ্ছে যে প্রশাসন কতখানি অসফল।
এখনও পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুসারে, এনকেফালাইটিস-এর জেরে শিশু মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে গিয়ে দাঁড়িয়েছে ১১৭-এ। খনও পর্যন্ত শ্রীকৃষ্ণ মেডিকেল কলেজে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ৯৮ জন শিশুর, এবং কেজরিওয়াল হাসসপাতালে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ১৯ জনের। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অন্তত ৩০০ শিশু। আর এই অবস্থাতেও কার্যত নিষ্ক্রিয় ভুমিকা পালন করছে বিহারের প্রশাসন।
এর আগে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমারের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল যে পাটনা থেকে মুজঃফরপুরের দূরত্ব মাত্র ৭০ কিলোমিটার আর এই পথ অতিক্রম করতে কীকরে সাত দিন সময় নিলেন তিনি! আর এবার আবারও প্রশাসনিক তৎপরতার অভাব স্পষ্ট চোখে পড়ল বিহারের উপ-মুখ্যমন্ত্রী সুশীল মোদীর সাংবাদিক বৈঠকে।
ব্যাঙ্কিং বিষয়ে নিয়ে এদিন সাংবাদিক বৈঠক ডেকেছিলেন উপ-মুখ্যমন্ত্রী সুশীল মোদী। আর খুব স্বাভাবিকভাবেই সেখানে সাংবাদিকরা তাঁকে শিশুমৃত্যু নিয়ে প্রশ্ন করেছিলেন। এই প্রসঙ্গে সুৃশাল মোদীর সাফ জবাব তিনি ব্যাঙ্কিং ক্ষেত্র নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক ডেকেছেন, তাই যাঁদের রোগের বিষয়ে জানার আছে তাঁরা যেন বৈঠক ছেড়ে ,বেরিয়ে যেতে পারেন। তিনি আরও জানান যে, ব্যাঙ্কিং বিষয়ে কারওর কোনও প্রশ্ন থাকলে তিনি উত্তর দেবেন, কিন্ত এছাড়া কোনও বিষয়ে প্রশ্ন থাকলে তা আলাদা কোনও বৈঠকে আলোচনা করবেন বলে জানিয়ে দেন তিনি।
বিহারে এনকেফালাইটিসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ১১৭
বিতর্কের এখানেই শেষ নয়, সাংবাদিক বৈঠকের পর তিনি দফতরের আধিকারিকদের নিয়ে এলাহি ভোজবিলাসে যোগ দেন। সেখানে আগত অতিথিদের জন্য ছিল বিশেষ খাওয়া-দাওয়ার আয়োজন ছিল। আর এই বিষয়টিকেই কটাক্ষ করেছেন বিরোধীরা। রাজ্য যখন এমন অবস্থা তখন উপমুখ্যমন্ত্রী এমন আচরণ নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা।