
Maharashtra News: মহা রাজনীতিতে বিবাদ ভুলে দু-দশক পর নতুন অধ্যায়ের সূচনা হতে চলেছে? উদ্ধব ঠাকরের ইঙ্গিতে এমনটাই মনে করছে জাতীয় রাজনীতিকরা। কারণ, তুতো ভাইয়ের সঙ্গে দু-দশকের ঝগড়া ভুলে পুনর্মিলন হতে চলেছে উদ্ধব ঠাকরে ও রাজ ঠাকরের। প্রায় দুই দশকের রাজনৈতিক বৈরিতা ভুলে একসঙ্গে আসার ইঙ্গিত দিয়েছেন দুই নেতা। এই সম্পর্কের উষ্ণতা ফিরে আসার পেছনে বিজেপি নেতৃত্বাধীন রাজ্য সরকারের জাতীয় শিক্ষা নীতি (NEP)-র অধীনে স্কুলে হিন্দি বাধ্যতামূলক তৃতীয় ভাষা করার সিদ্ধান্ত নিয়ে ক্রমবর্ধমান অসন্তোষকে গুরুত্বপূর্ণ প্রেক্ষাপট হিসেবে দেখছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
শিবসেনা (UBT) ও মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনা (MNS)-র দুই নেতার পুনর্মিলন প্রসঙ্গে মুখ খোলেন মুখ্যমন্ত্রী ফড়নবীশ। তিনি বলেন, ''যদি তারা একসঙ্গে আসে, আমরা খুশি হব। মানুষ যদি নিজেদের মধ্যে বিভেদ ভুলে সমাধানে আসে, তাহলে সেটা অবশ্যই ইতিবাচক ব্যাপার। এর চেয়ে বেশি আর কী বলব?”
সূত্রের খবর, মহারাজনীতিতে তৈরি হয়েছে ভাষা বিতর্ক। এরফলে হিন্দিকে তৃতীয় ভাষা হিসেবে বাধ্যতামূলক করেছে মহারাষ্ট্র সরকার। যা প্রথম শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত কার্যকর করার কথা বলা হয়েছে। সরকারের এই সিদ্ধান্তের পর মহারাষ্ট্রের আঞ্চলিক দলগুলোর দাবি, এই সিদ্ধান্ত রাজ্যের নিজস্ব ভাষা মারাঠির গুরুত্বকে খর্ব করছে। ফলে অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি, এই ইস্যুই ঠাকরে তুতো ভাইদের মধ্যে একতার এক নতুন সূত্র হয়ে উঠেছে। ২০০৫ সালে তাঁদের মধ্যে বচসা হওয়ার পর রাজ ঠাকরে মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনা (MNS) গঠন করেন এবং এর ফলে শুরু হয় দীর্ঘ রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা, যা বহু বছর ধরে রাজ্য রাজনীতিকে প্রভাবিত করেছে। এখন, ভাষা বিতর্ক সেই পুরনো বিভাজন ভুলে নতুনভাবে একত্রিত হওয়ার পথ দেখাচ্ছে দুই ঠাকরে ভাইকে।
সম্প্রতি চলচ্চিত্র পরিচালক মহেশ মাঞ্জরেকরের সঙ্গে একটি পডকাস্টে অংশগ্রহন করেন মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনা (MNS)-র প্রধান রাজ ঠাকরে। সেখান থেকে তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, মহারাষ্ট্রের সাংস্কৃতিক ও ভাষাগত পরিচয় রক্ষার স্বার্থে তিনি অতীতের বিরোধ ভুলে একসঙ্গে চলার জন্য প্রস্তুত।
রাজ বলেন, ''যখন বড় সমস্যাগুলো সামনে আসে, তখন আমাদের নিজেদের মধ্যকার ঝগড়া-বিবাদ খুবই তুচ্ছ হয়ে যায়। মহারাষ্ট্র ও মারাঠি জনগণের স্বার্থে আমাদের মধ্যে থাকা মতবিরোধ গৌণ হয়ে পড়ে।'' তিনি আরও বলেন, ''উভয় পক্ষ ইচ্ছা প্রকাশ করলে একসঙ্গে কাজ করা সম্ভব।'' এই মন্তব্যে ঠাকরের বক্তব্য স্পষ্ট—মহারাষ্ট্রের বৃহত্তর স্বার্থে পুরনো দ্বন্দ্ব ভুলে ঐক্য গড়ে তোলার সময় এসেছে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।