
Jammu Kashmir flash floods: আগেই হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস ছিল যে, বৃষ্টি হতে পারে জম্মু কাশ্মীরে। শনিবার রাত থেকে মেঘভাঙা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত উপত্যকা। একটানা বৃষ্টিতে রাতারাতি বিপর্যয় নেমে এসেছে ভূস্বর্গে। জানা গিয়েছে, শনিবার রাত থেকে প্রবল বর্ষণের কারণে আচমকা বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে এই রাজ্যের জম্মু ও কাশ্মীরের রামবান জেলার চেনাব নদীর তীরবর্তী ধরমকুন্ড গ্রামে। এই প্রাকৃতিক দুর্যোগে এখন পর্যন্ত তিনজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে এবং একজন নিখোঁজ রয়েছেন।
প্রবল বর্ষণের সঙ্গে সঙ্গে ভূমিধস, শিলাবৃষ্টি ও দমকা হাওয়া দোসর হয়ে দাঁড়িয়েছে। যার ফলে ব্যাপকভাবে ঘরবাড়ি ও রাস্তার ক্ষতি হয়েছে। বহু পরিবার গৃহহীন হয়ে পড়েছে বলে জানা গিয়েছে। শুধু তাই নয়, জাতীয় সড়কের একাধিক অংশে যাতায়াত ব্যাহত হয়েছে এই মেঘভাঙা বৃষ্টির কারণে।
স্থানীয় প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে যে, একটানা বৃষ্টির ফলে পাশের একটি নালায় জলস্তর হঠাৎ বেড়ে যায় এবং সেটি ভয়াবহ ফ্ল্যাশ ফ্লাডে পরিণত হয়ে চেনাব সেতুর নিকটবর্তী ধরমকুন্ড গ্রাম দিয়ে বয়ে যায়। এই দুর্যোগে দশটি বাড়ি সম্পূর্ণ ভেঙে গিয়েছে। আর প্রায় ২৫ থেকে ৩০টি বাড়ি আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এদিকে প্রকৃতির এই ধ্বংসযজ্ঞের মধ্যেই ধরমকুন্ড থানার পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের দ্রুত তৎপরতায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় আটকে পড়া প্রায় ৯০ থেকে ১০০ জন মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নিয়ে গিয়েছে।
রামবান জেলার সিনিয়র সুপারিনটেনডেন্ট অফ পুলিশ (এসএসপি) কুলবীর সিং জানিয়েছেন যে, প্রবল বৃষ্টির কারণে বাগনা গ্রামে একটি বাড়ি ধসে পড়লে দুই শিশুসহ মোট তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের নাম মোহাম্মদ আকিব (১৪), মোহাম্মদ সাকিব (৯) এবং মোহন সিংহ (৭৫)। তাঁরা সকলেই বাগনা পঞ্চায়েতের বাসিন্দা ছিলেন। এসএসপি সিংহ আরও জানান, এখন পর্যন্ত ১০০-র বেশি মানুষকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
এই মেঘভাঙা বৃষ্টির ফলে দুটি হোটেল, একাধিক দোকান ও বেশ কয়েকটি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঘটনাস্থলের ভিডিয়োগুলিতে ধ্বংসযজ্ঞের ভয়াবহ চিত্র ধরা পড়েছে—কাদাজলে প্লাবিত ঘরবাড়ি, ধসে পড়ছে নির্মাণ এবং ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে রয়েছে গাড়ি। সেখান থেকে আটকে পড়া মহিলা শিশুদের উদ্ধার করে নিয়ে যাচ্ছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর কর্মীরা।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।