৫ লক্ষ টাকা জরিমানা কোপে ইন্ডিগো, বিশেষভাবে সক্ষম কিশোরকে যেতে না 'সাজা'

রাঁচি বিমানবন্দরের  বিশেষভাবে সক্ষম শিশুকে বিমানে উঠতে বাধা দেওয়া হয়েছিল। শিশুটির রাঁচি-হায়দরাবাদ ভ্রমণে বাঁধা সৃষ্টি করেছিল ইন্ডিগো। ঘটনার তদন্তে তিন সদস্যের একটি দল গঠন করেছে ডিজিসিএ।

Web Desk - ANB | Published : May 28, 2022 3:05 PM IST

হায়দরাবাদ ফ্লাইটের এক যাত্রী মনীষা গুপ্তা শিশু ও তার বাবা-মায়ের পরিস্থিতি বর্ণনা করার পরে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। শিশুটিকে ৯ মে ইন্ডিগো দ্বারা রাঁচি-হায়দরাবাদ ট্রিপে উঠতে অনুমতি দেওয়া হয়নি কারণ সে 'দৃশ্যতই আতঙ্ক ' এর মধ্যে ছিল। ' যেহেতু ছেলেটিকে যেতে দেওয়া হয়নি, তার বাবা-মা, যারা তার সঙ্গে ছিলেন, তারাও না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। ইতিহাসে প্রথমবার এভিয়েশন নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি একটি এয়ারলাইনসকে আর্থিক জরিমানা করল।

ঘটনার তদন্তের জন্য ৯ মে ডিজিসিএ তিন সদস্যের একটি দল গঠন করে। ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ সিভিল এভিয়েশন এর (ডিজিসিএ) একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, "ইন্ডিগোর গ্রাউন্ড স্টাফদের দ্বারা বিশেষভাবে সক্ষম শিশুটির পরিচালনার ঘাটতি হয়েছিল এবং সেই পরিস্থিতিকে আরও খারাপ করে তুলেছিল।"

আরও সহানুভূতিশীল ভাবে বাচ্চাটিকে পরিচালনা করা হলে, শিশুটিকে শান্ত করা যেত এবং যাত্রীদের বোর্ডিংয়ে যেতে দিতে অস্বীকার করার মত চরম পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তা হত না বলে ডিজিসিএ মন্তব্য করেছে।
বিশেষ পরিস্থিতিতে অতিরিক্ত যত্ন নিয়ে প্রতিক্রিয়া দেওয়া উচিত ছিল, কিন্তু এয়ারলাইন্সটির কর্মীরা সেটি মেনে চলতে কার্যতই ব্যর্থ হয়েছে এবং তারা সিভিল এভিয়েশন রিকোয়ারমেন্টস (নিয়মাবলি) এর চিঠি ও মতাদর্শ মেনে চলতে পুরোপুরি ব্যার্থ হয়েছে, বলে ডিসিজিএ উল্লেখ করেছে।

"এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে, ডিজিসিএ কর্তৃপক্ষ প্রাসঙ্গিক বিমান বিধির বিধানের অধীনে এয়ারলাইনটিকে ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে," বলে একটি বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে। সঙ্গে আরও বলা হয়েছে, এই ধরনের পরিস্থিতি প্রতিরোধ করার জন্য, এটি তার বিধানগুলি পুনঃবিবেচনা করবে এবং প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনবে।

ভাইরাল হওয়া একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে, মিস গুপ্তা বলেছিলেন যে ইন্ডিগোর ম্যানেজার চিৎকার করতে থাকেন এবং সবাইকে বলতে থাকেন যে "শিশুটি নিয়ন্ত্রণের অযোগ্য"। মিস গুপ্তা বলেছিলেন যে বিমানের অনেক যাত্রী  তাদের পাশে দাঁড়িয়েছিল।  তাদের উঠতে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছিল । কিন্তু তাতেও কোন লাভ হয়নি।

 ইন্ডিগোর সিইও রনজয় দত্ত একটি বিবৃতিতে বলেছিলেন যে তারা "একটি কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে"। "চেক-ইন এবং বোর্ডিং প্রক্রিয়া জুড়ে অবশ্যই আমাদের উদ্দেশ্য ছিল পরিবারকে বিমানে করেই গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়ার। তবে, বোর্ডিং এলাকায় কিশোরটি দৃশ্যত আতঙ্কের মধ্যে ছিল। যদিও আমাদের গ্রাহকদের নম্র এবং সহানুভূতিশীল পরিষেবা প্রদান করা আমাদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।  বিমানবন্দরটি কর্মীরা, নিরাপত্তা নির্দেশিকাগুলির  সঙ্গে তালে তাল মিলিয়ে , কঠিন পরিস্থিতিতে ওই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে। "

Share this article
click me!