হাথরসের ঘটনায় বারবারই প্রশ্ন উঠছে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে
তদন্ত প্রক্রিয়া থেকে যেভাবে নির্যাতিতার দেহ পুড়িয়ে দেওয়া নিয়ে হয়েছে বিতর্ক
এবার সরাসরি সরকারের কথায় সম্মতি দিতে ধর্ষিতার পরিবারকে দেওয়া হল হুমকি
জেলাশাসক ধরা পড়ে গেলেন ক্যামেরায়
হাথরসের ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় বারবারই প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। তদন্ত প্রক্রিয়া থেকে শুরু করে যেভাবে নির্যাতিতার দেহ জোর করে রাতে অন্ধকারে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, তাই নিয়ে গোটা ভারতেই সমালোচনার ঝড় উঠেছে। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার ফের সেখানকার জেলাশাসককে দেখা গেল ধর্ষিতার পরিবারকে সরাসরি 'হুমকি' দিতে, তাও আবার সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরার সামনেই।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা একটি ভিডিও ফুটেজ শেয়ার করেছেন। সেখানে হাথরসের জেলাশাসক প্রবীণ লক্ষকরকে দেখা যাচ্ছে নির্যাতিতার বাবাকে সরকারি বয়ানে সম্মতি জানানোর জন্য রীতিমতো চাপ দিতে। তিনি বলেন এদিন সংবাদমাধ্যমের অর্ধেক লোক চলে গিয়েছে, আগামীকাল বাকি অর্ধেকও চলে যাবে। তারপর প্রশাসনের লোকজনই থাকবে। সেই বিষয়টি মাথায় রেখেই নির্যাতিতার বাবাকে, তিনি তাঁর বক্তব্য পরিবর্তন করবেন কি করবেন না, সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বলেন লক্ষকর।
বিষয়টি নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই কংগ্রেস দল তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। ভিডিওটি শেয়ার করে রণদীপ সুরজেওয়ালা প্রশ্ন করেছেন, 'এটা কি হুমকি নয়?'। একজন ধর্ষিতার বাবাকে সরকারের পক্ষ থেকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে, এটা অত্যন্ত লজ্জার বলে মন্তব্য করেন তিনি।
পরে অবশ্য হাথরসের জেলাশাসক ওই পরিবারকে হুমকি দেওয়ার কথা অস্বীকার করেন। তিনি জানান, তাঁদের অসন্তুষ্টির বিষয়ে কথা বলতেই পরপর দুদিন ভুক্তভোগী পরিবারের ছয় সদস্যের সঙ্গে তিনি দেখা করেছেন। তিনি আরও জানান, নির্যাতিতার পরিবারের মূল দাবি, দোষীদের অবশ্যই ফাঁসি দিতে হবে। তিনি সেই বিষয়েই তাঁদের আশ্বস্ত করার চেষ্টা করেছেন বলে দাবি করেছেন লক্ষকর। সেইসঙ্গে তিনি জানান, এই ঘটনার বিচার ফাস্ট ট্র্যাক আদালতে করা হবে।