বাবা হয়েছেন, কিন্তু সন্তানের মুখ আর দেখা হল না। অপারেশন থিয়েটারের সদ্যোজাতকে খুবলে খেল কুকুর! বেসরকারি হাসপাতালে এমনই মর্মান্তিক দৃশ্যের সাক্ষী থাকলেন এক যুবক। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের ফারুকাবাদ শহরে।
ফারুকাবাদে শহরের আবাস বিকাশ কলোনিতে থাকেন রবি কুমার। তাঁর স্ত্রী কাঞ্চনা সন্তানসম্ভবা ছিলেন, প্রসব শুরু হয় সোমবার ভোরে। স্ত্রীকে শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করেছিলেন রবি। ওই যুবকের দাবি, হাসপাতালে ভর্তি করার প্রথমে চিকিৎসকের জানিয়েছিলেন, সিজার করার দরকার হবে না। স্বাভাবিকভাবে সন্তান প্রসব করতে পারবেন কাঞ্চনা। কিন্তু শেষপর্যন্ত প্রসূতির সিজার করারই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। হাসপাতালে পুত্রসন্তানের জন্ম দেন ওই মহিলা।
আরও পড়ুন: মায়ানগরীতে এবার ধর্ষণের অভিযোগ, আরপিএফ কনস্টেবলের লালসার শিকার ট্যাক্সি চালক
রবি কুমার জানিয়েছেন, 'আমাকে বলা হয়েছিল মা ও সন্তান দু’জনেই সুস্থ আছে। অপারেশন থিয়েটারের বাইরে অপেক্ষা করতে হবে। ছেলের মুখও দেখিনি তখন। আচমকাই নার্সরা চেঁচামেচি জুড়ে দেন কুকুর ঢুকে গেছে ওটিতে। শুনেই ছুটে গিয়ে দেখি আমার সন্তান ছিন্নভিন্ন পড়ে আছে মাটিতে!' কীভাবে ঘটল এমন বীভৎস ঘটনা? সন্তানহারা বাবার বক্তব্য, সিজারের পর তাঁর স্ত্রীকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় অন্য ওয়ার্ডে। কিন্তু সদ্যোজাত সন্তানকে ফেলে রাখা হয় অপারেশন থিয়েটারেই।
এদিকে এই ঘটনার পর মুখে কুলুপ এঁটেছেন ওই বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসক ও নার্সরা। এমনকী, রবি কুমার বা তাঁর পরিবারের লোকেদের সঙ্গে ডাক্তার ও নার্সরা দেখাও করতে চাইছেন না বলে অভিযোগ। রবি কুমার-এর দাবি, ঘটনা দায় নিতে রাজি নয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। উল্টে টাকা দিয়ে তাঁর মুখ বন্ধ করানোর চেষ্টা চলছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে পুলিশ ও জেলাশাসকের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই যুবক। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, ওই হাসপাতালটির নাকি বৈধ লাইসেন্সই নেই! তাহলে হাসপাতালে এতদিন চলছিল কী করে? খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
\