গৃহস্থ হিংসার নৃংশতম নজির সামনে এল মহারাষ্ট্রে। দুই গৃহবধূকেই খুন করা হয়েছে নৃশংসভাবে। একজনকে শ্বাস রোধ করে খুন করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। অন্য গৃহবধূকে হত্যা করা হয়েছে পেটে গুলি করে।
পরপর দুই দিনে গৃহস্থ হিংসার নৃংশতম নজির সামনে এল মহারাষ্ট্রে। দুই গৃহবধূকেই খুন করা হয়েছে নৃশংসভাবে। একজনকে শ্বাস রোধ করে খুন করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। অন্য গৃহবধূকে হত্যা করা হয়েছে পেটে গুলি করে। দুটি ঘটনা আবারও প্রশ্ন তুলে দিল এই দেশে নারী নির্যাতন নিয়ে।
প্রথম ঘটনাঃ
শুক্রবার সকালে থানের পূর্ব ভাইন্দর এলাকায় ঘটেছে। এক ব্যক্তি তার ৪০ বছরের স্ত্রীকে নিজের বাড়িতে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে। স্ত্রী অভিযোগ শুধু এটাই সকালে স্বামীকে যে খাবর দিয়েছিলেন তাতে নুনের পরিমাণ একটু বেশি হয়ে গিয়েছিলেন। পুলিশ জানিয়েছে, নীলেশ নামে এই ব্যক্তিকে তার স্ত্রী ব্রেকফাস্টে খিচুড়ি দিয়েছিল। আর সেই খিচুড়িতে নুনের পরিমাণ একটু বেশি হয়ে গিয়েছিল। সেই খিচুড়ি খেয়ে স্বামীর মাথা এতটাই গরম হয়ে গিয়েছ যে সে তার স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।পুলিশ জানিয়েছে একটি লম্বা কাপড় বা শাড়ি দিয়ে স্ত্রীর গলায় ফাঁস লাগিয়ে শ্বাসরোধ করে নীলেশ তার স্ত্রীকে খুন করে বাড়িতে রেখে দেয়। পুলিশ জানিয়েছে মহিলার দেহ উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ফরেন্সিকের জন্য পাঠান হয়েছে। নীলেশের বিরুদ্ধ ভারতীয় দণ্ডবিধির খুনের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
দ্বিতীয় ঘটনাঃ
একই ধরনের আরও একটি ঘটনা ঘটেছে বৃহস্পতিবার। এক মহিলাকে তাঁর শ্বশুর পেটে গুলি করে হত্যা করেছিল। এখান পুত্রবধূর অভিযোগ ছিল শ্বশুরকে চা দিতে তিনি দেরি করেছিলেন। তাতেই মহিলার ওপর রীতিমত বিরক্ত হয়ে পুত্রবধূকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। থানের রাবোদি এলাকার আহত ৪২ বছরের গৃহবধূকে চিকিৎসার জন্য স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই শুক্রবার মারা যায় এই মহিলা। এই ঘটনায় অভিযুক্ত শ্বশুরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এই দেশের ক্রমশই বাড়ছে নারী নির্যাতনের ঘটনা। লকডাউনের সময় থেকে গৃহস্থ হিংসা যে বেড়েছে তার একাধিক প্রমাণ পাওয়া গেছে। প্রচার , বিজ্ঞাপণ- একাধিক পদক্ষেপ নিয়েও বন্ধ করা যাচ্ছে না গৃহস্থ হিংসা। যা নিয়ে উদ্ধেগ বাড়ছে মহিলাদের মধ্যে। নারী সুরক্ষা কমিশনও এই বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।