তেজস এমকে ১এ (TEJAS MK 1A) যুদ্ধ বিমানকে আরও শক্তিশালী করতে বড় উদ্যোগ নিচ্ছে ভারতের প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা বা DRDO। তেজস যুদ্ধ বিমানের জন্য তৈরি হচ্ছে রক্ষাকবচ। DRDO-র তৈরি এয়ারবোর্ন ইলেক্ট্রনিস্ক ওয়ারফেয়ার স্য়ুট-এর নাম দেওয়া হচ্ছে 'স্বয়ং রক্ষাকবচ'।
25
DRDO-র মূল উদ্দেশ্য
তেজস যুদ্ধ বিমানকে ভারতের সামরিক বিমান চলাচলে স্বনির্ভর করতে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। ডিজিটাল ফ্লাইট নিয়ন্ত্রণ ও মিশন পরিচালনা কম্পিউটারের পাশাপাশি একটি সহায়ক মিশন কম্পিউটার যুক্ত করা হবে। এর ফলে ভারতের পরবর্তী দেশীয় যুদ্ধ বিমানটি আরও সক্ষম হবে। পাশাপাশি সিস্টেম যদি কোনও কারণে ব্যর্থ হয় তাহলে সেই সময়েও অনেক বেশি স্থিতিস্থাপক হবে।
35
তেজসে সহায়ক কম্পিউটারের ভূমিকা
তেজস যুদ্ধবিমানের আপগ্রেডের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে একটি সহায়ক কম্পিউটার। এটি উড়ানের সময় নিরাপত্তা ও মিশনের ধারাবাহিকতা - দুটি উন্নত করে। ডিজিটাল ফ্লাইট কন্ট্রোল কম্পিউটার (DFCC) এবং মিশন ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ডিসপ্লে কম্পিউটার (MMDC) - একত্রে কাজ করবে। সহায়ক কম্পিউটারটি এবার থেকে এমনভাবে কাজ করবে যাতে মিশনের সময় কোনও একটি কম্পিউটারে কোনও সমস্যা দেখা দিলে অন্যটি দ্রুত নিয়ন্ত্রণ নিতে পারবে। প্রযুক্তির এই অগ্রগত যুদ্ধের সময়ও সমানতালে কাজ করবে।
ব়্যাডার, ইলেকট্রনিক-ওয়ারফেয়ার সিস্টেম, ইনফ্রারে়ড ট্র্যাকিং-সহ একাধিক অনবোর্ড সেন্সর থেকে যে তথ্য পাওয়া যায় তা পাইলটের কাছে একত্রিত হয়ে আসবে। যা পাইলটকে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করবেয় এই সেন্সর ফিউশন দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও অপারেশনের সময় যে চাপ থাকে তার কমাতে পারবে। পাশাপাশি যুদ্ধক্ষেত্রের একটি বৃহত্তর পরিস্থিতি পাইলটের সামনে উপস্থিত করবে। যা মিশন সফল করতে জরুরি।
55
দেশীয় প্রযুক্তি শক্তিশালী
তেজস এমকে২ দেশীয় প্রযুক্তির উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধির প্রতিনিধিত্ব করে, যার মধ্যে রয়েছে ভারতীয় নকশাকৃত রাডার, এভিওনিক্স এবং ইলেকট্রনিক-ওয়ারফেয়ার সিস্টেম। উত্তম অ্যাক্টিভ ইলেকট্রনিকলি স্ক্যানড অ্যারে (AESA) রাডার, ডিজিটাল ফ্লাই-বাই-ওয়্যার কন্ট্রোল এবং মডুলার আর্কিটেকচারের একীকরণ অভ্যন্তরীণভাবে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি বিকাশে ভারতের ক্রমবর্ধমান আস্থা প্রদর্শন করে। এটি বিদেশী সরবরাহকারীদের উপর নির্ভরতা হ্রাস এবং স্বদেশী প্রতিরক্ষা উৎপাদন জোরদার করার জাতীয় অভিযানের সাথেও সামঞ্জস্যপূর্ণ।