জম্মু (Jammu) কি নাশকতার সফট টার্গেট হয়ে উঠছে পাকিস্তানি জঙ্গিদের কাছে। বারবার পাক হামলার নিশানা হওয়ায় এই প্রশ্নই উঠছে। শুক্রবার সকালে আন্তর্জাতিক সীমানা (International Border) পেরিয়ে ভারতীয় ভূখন্ডে (Indian territory) প্রবেশ করে পাক ড্রোনটি (drone from Pakistan)। দেখতে পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে গুলি চালায় বিএসএফ (BSF)।
জুলাই মাসে ১৫ দিন বন্ধ থাকবে ব্যাংক, জেনে নিন তারিখগুলো
গুলি খেয়ে সঙ্গে সঙ্গে পাক সীমান্তের দিকে উড়ে চলে যায় ড্রোনটি। জম্মুর আর্ণিয়া সেক্টরে এই ড্রোনটি দেখতে পাওয়া যায়। কিন্তু বারবার জম্মুকেই কেন টার্গেট করছে পাক জঙ্গিরা, সেই প্রশ্ন উঠছে। সামরিক দিক থেকে জম্মু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটি। ফলে জম্মুকে টার্গেট করা অস্বাভাবিক কিছু নয় বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
বিএসএফের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা জানান, ড্রোন মাটির বেশ কাছ দিয়েই উড়ছিল। এই ড্রোনটি স্মল হেক্সা কপ্টার জাতীয় বলে জানা গিয়েছে। নজরদারির জন্যই মূলত এই ধরণের ড্রোন বানানো হয়ে থাকে বলে জানা গিয়েছে। উল্লেখ্য গত এক সপ্তাহ ধরে অন্তত পক্ষে পাঁচটি ড্রোন পাকিস্তানের দিক থেকে ভারতে উড়ে এসেছে।
বাড়িটা ঘিরে ফিলতেই ছুটে এল ঝাঁকে ঝাঁকে গুলি..কারা লুকিয়ে ভেতরে
৩০শে জুন জম্মুর তিনটি পৃথক স্থানে ড্রোন নজরে আসে নিরাপত্তা বাহিনীর। বুধবার ভোরে জম্মুর মিরান সাহেব, কালুচক এবং কুঞ্জওয়ানি অঞ্চলগুলিতে ড্রোন ঘোরাফেরা করতে দেখা গিয়েছে বলে জানিয়েছেন বাহিনীর সদস্যরা।
মোবাইলে অনলাইন গেমস কি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, কী বলল হাইকোর্ট
সেনার সূত্রটির দাবি, এদিন ভোর ৪টে বেজে ৪০ মিনিট একটি ড্রোনকে কালুচক সেনা ঘাঁটির উপর ঘোরাফেরা করতে দেখা যায়। এরপর আবার ৪ টে বেজে ৫২ মিনিট নাগাদ জম্মুর কুঞ্জওয়ানি এলাকায় ভারতীয় বায়ুসেনার স্টেশন সিগন্যালের কাছে আরও একটি ড্রোন চোখে পড়ে বাহিনীর সদস্যদের। রবিবার দুটি বিস্ফোরণ দিয়ে শুরু হয়েছিল এই ড্রোন তৎপরতা। এরপর সোমবার ভোরে আরও দুটি, মঙ্গলবার ভোরেও একটি (অথবা তিনটি) ড্রোন নিরাপত্তা বাহনীর নজরে এসেছিল। এদিন আবারও একই ঘটটনা ঘটল। এরইমধ্যে বুধবার ভোরে বিহারের চম্পারণ জেলায় ইন্দো-নেপাল সীমান্তের কাছাকাছি এলাকায় সশস্ত্র সীমা বল বাহিনীর হাতে তিনজন পাচারকারী ধরা পড়েছে। তাদের কাছ থেকে ৮টি চিনের তৈরি ড্রোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।