করোনার আইসোলেশন ওয়ার্ডে কাজ করবেনা, ইস্তফা চিকিৎসক দম্পতির, অবিলম্বে কাজে না ফিরলে শাস্তি হতে পারে

  • করোনার আইসোলেশন ওয়ার্ডে ডিউটি
  • প্রথমে কাজ থেকে ইস্তফা ডাক্তার স্বামীর
  • পরে ইস্তফা দেন স্ত্রীও
  • চিকিৎসক দম্পতিকে কাজে ফিরতে নির্দেশ

Asianet News Bangla | Published : Mar 25, 2020 11:50 AM IST

করোনাভাইরাসের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ডিউটি পড়েছিল। তাই চাকরি থেকে ইস্তাফা দিতে ভাবনা চিন্তার জন্য খুব একটা সময়  নেননি স্বামী। স্বামীর পথ ধরেই হেঁটেই ইস্তফা দিয়েছেন স্ত্রী। প্রথম ওয়াটসঅ্যাপে। তারপর মেল করে চিকিৎসক দম্পতি ইস্তফা পত্র পাঠিয়ে দিয়েছিলেন কর্তৃপক্ষের কাছে। ঝাড়খণ্ডের সিংভূম জেলার একটি সরকারি হাসপাতালের ঘটনা। কিন্তু চিকিৎসক দম্পতির এই পদক্ষেপ মোটেও ভালোভাবে নেয়নি রাজ্য প্রশাসন। অবিলম্বে তাদের কাজে যোগ দিতে বলা হয়েছে।  

সিংভূম হাসপাতালের সিভিল সার্জেন মঞ্জু দুবে জানিয়েছেন, রাজ্যের স্বাস্থ্য সচিব মদন কুলকার্নির নির্দেশ অনুযায়ী অলোক তিরকেকে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কাজে যোগ দিতে বলা হয়েছে। তিনি যদি কাজে যোগ না দেন তাহলে অবিলম্ব তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দায়ের করা হতে পারে এফআইআরও। করোনাভাইরাসের সংক্রমণকে মহামারী হিসেবেই চিহ্নিত করেছে ঝাড়খণ্ড প্রশাসন। তাই ১৮৯৭ সালের আইন অনুযায়ী অলোক তিরকের বিরুদ্ধে রীতিমত কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারেই বলেই জানিয়েছে প্রশাসন। 

আরও পড়ুনঃ লকডাউনে ভরসা দুটো পা, ৮০ কিলোমাটির পথ হেঁটেই ঘরে ফিরতে হচ্ছে উত্তর প্রদেশের শ্রমিকদের.

আরও পড়ুনঃ চিনকে বদনাম করছেন ট্রাম্প, জবাব দিতে ভারতকে পাশে চাইলেন জিংপিং

মাত্র তিন দিন আগেই সদর হাসপাতালের করোনা-আইসোলেশন ওয়ার্ডের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল অলোক তিরকেকে। কিন্তু স্ত্রীর অসুস্থতার কারণ দেখেনি ইস্তফা দিয়েছেন তিনি। স্বামীর পরই ইস্তফা দেন স্ত্রী সৌম্যা। যদিও অলোক তিরকের দাবি হাসপাতালে রাজনীতি শিকার তিনি। তাঁর আরও অভিযোগ করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোখার মত পর্যাপ্ত প্রয়োনীয় সরঞ্জাম নেই হাসপাতালের হাতে। চিকিৎসকরাও প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা পাচ্ছেন না। তিরকে জানিয়েছেন, প্রথম দিন সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত তিনি আইসোলেশন ওয়ার্ডে কর্মরত ছিলেন। কিন্তু নিরাপত্তার নূন্যতম সরঞ্জামও তিনি পাননি বলে অভিযোগ। এই অবস্থায় পরিষেবা দেওয়া সম্ভব নয় বলেই তিনি কাজ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। তবে তিনি পালিয়ে যেতে চাননা। বর্তামন পরিস্থিতিতে তিনি কাজ চালিয়ে যাবেন বলেও জানিয়েছেন। এই পরিস্থিতি কেটে গেলে চাকরি ছেড়ে দেবেন বলে জানিয়েছেন তিরকে। 
   
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ  রুখতে লকডাউনের আগে থেকেই গোটা দেশে বন্ধ মন্দির-মসজিদসহ সব তীর্থস্থান। সেখানে  এখন ডাক্তাররাই ভগবান। চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে আক্রোশ দূরে সরিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় উপছে পড়ছে প্রশংসা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ডাকে সাড়া দিয়ে গোটা দেশই রবিবার বিকেল ৫টায় চিকিৎসক স্বাস্থ্য কর্মীসহ জরুরী পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের স্বাগত জানিয়েছিল।  এই অবস্থায় অলোক তিরকের ঘটনা সামনে আসায় কিছুটা হলে প্রভাব ফেলবে চিকিৎসকদের ভাবমূর্তিতে। 

Share this article
click me!