পশ্চিমবঙ্গের উত্তরে সিকিম রাজ্যে ভূমিকম্পের খবর মিলেছে। বুধবার উত্তর সিকিম জেলার লাচুং এলাকায় কম্পন অনুভূত হয়।
বুধের সকালে ফের ভূমিকম্প(earthquake) । এবার কাঁপল বাংলার উত্তরের মাটি। পশ্চিমবঙ্গের উত্তরে সিকিম রাজ্যে (North Sikkim district) ভূমিকম্পের খবর মিলেছে। বুধবার উত্তর সিকিম জেলার লাচুং এলাকায় (Lachung area) কম্পন অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে (Ritcher scale) কম্পনের মাত্রা ছিল ৪.৩ (earthquake of magnitude 4.3)। বুধবার সকাল ৯.০৪ মিনিটে এই কম্পন অনুভুত হয়।
ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি জানিয়েছে বুধবার কাঁপে সিকিম। মাটি থেকে ১০ কিমি গভীরে ছিল কম্পনের উৎস। লাচুংয়ের ৬২৩ কিমি উত্তরে কম্পনের কেন্দ্র বলে জানানো হয়েছে। এদিকে, মঙ্গলবারও ভারতের উত্তর পূর্বে ভূমিকম্প হয়। অসমের তেজপুরের মাটি কেঁপে ওঠে এদিন। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৩.২ ম্যাগনিটিউড।
একের পর এক ভূমিকম্প দেশ জুড়ে। এবার কাঁপল লেহ লাদাখের পায়ের তলার মাটি। সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে লেহ-র আলচি এলাকায় কম্পন অনুভূত হয়। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি জানায়, রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৪.২ ম্যাগনিটিউড।
এনসিএস জানায় আলচি থেকে ৮৯ কিমি দক্ষিণ পশ্চিমে কম্পন অনুভূত হয়। সকাল ৯.১৬ মিনিটে এই কম্পন প্রথম অনুভব করেন বাসিন্দারা। সপ্তাহ খানেক আগে কেঁপে ওঠে উত্তরাখন্ড। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৪.৬ ম্যাগনিটিউড। উত্তরাখন্ডের যোশীমঠের এই ভূমিকম্পে কাঁপে গোটা রাজ্য। আতঙ্কে বাড়ি ঘর ছেড়ে বেড়িয়ে আসেন মানুষ। সাতই ফেব্রুয়ারির বিধ্বংস্বী ধ্বসের কথা মনে করায় এই ভূমিকম্প।
আরও পড়ুন- শাঁখ কেন তিনবার বাজানো হয় জানেন, রয়েছে অদ্ভুত কারণ
ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি জানায় যোশীমঠের ৩১কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণ পশ্চিমে কম্পন অনুভূত হয়। শনিবার ভোর ৫.৫৮ মিনিটে কম্পন শুরু হয়। মাটি থেকে ৫কিমি গভীরে ছিল কম্পনের উৎস স্থল।
আরও পড়ুন-- মুর্শিদাবাদে তৃণমূলের 'খেলা' আটকে বিড়ি শ্রমিকদের হাতে, উল্টে যেতে পারে ভোটের ফল
এদিকে, সাতই ফেব্রুয়ারি প্রাণঘাতী হিমবাহ ধ্বসের পর ফের যোশীমঠে ধ্বস নামে ২৪শে এপ্রিল। জোশীমঠের কাছে চিন সীমান্ত এলাকায় নীতি উপতক্যায় হিমবাহে ফাটল ধরে তা ভেঙে পড়ে।