শনিবার পূর্ব লাদাখে ভারতীয় ও চিন সেনার লেফটেন্যান্ট জেনারেল-স্তরের বৈঠক হল
ভারতীয় প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে লেফটেন্যান্ট জেনারেল হরিন্দর সিং
চিনা বাহিনীর নেতৃত্ব দেন তিব্বত সামরিক জেলার কমান্ডার
কী আলোচনা হল, মিলল কি কোনও সমাধান সূত্র
শনিবার পূর্ব লাদাখে এক মাসব্যাপী সীমান্ত উত্তেজনা হ্রাস করার লক্ষ্যে ভারতীয় ও চিন সেনার প্রথম লেফটেন্যান্ট জেনারেল-স্তরের আলোচনা হল। ভারতীয় প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিলেন লেহ উপত্যকার ১৪ কর্পস-এর জেনারেল কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল হরিন্দর সিং। অপরদিকে চিনা বাহিনীর নেতৃত্ব দেন তিব্বত সামরিক জেলার কমান্ডার।
পূর্ব লাদাখের আসল নিয়ন্ত্রণ রেখার (এলএসি) কাছে চিনের মলদো সীমান্ত বৈঠক কেন্দ্রে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনার ঠিক কি সিদ্ধান্ত হয়েছে তা বিশদে জানায়নি কোনও পক্ষই। তবে, ভারতীয় সেনাবাহিনীর এক মুখপাত্র বলেছেন, ভারত-চিন সীমান্তবর্তী অঞ্চলের বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য দুই দেশের সামরিক ও কূটনৈতিক চ্যানেলগুলির মাধ্যমে আরও আলোচনা হবে। সেই দিকেই বিষয়টিকে নিয়ে গিয়েছে শনিবারের আলোচনা।
সেনা সূত্রে জানা গিয়েছিল, এদিনের সামরিক আলোচনায় ভারতীয় প্রতিনিধিরা পূর্ব লাদাখের গালওয়ান উপত্যকা, প্যাংগং তসো এবং গোগড়া-য় স্থিতাবস্থা ফিরিয়ে আনার জন্য চাপ দেবে। ওইসব অঞ্চলে চিনা সেনাদের বড় কোনও নির্মাণের বিরোধিতা করবে। তার পাশাপাশি ভারতীয় সীমান্তের এদিকে পরিকাঠামোগত উন্নয়নের বিরোধিতা না করার জন্য চিনকে বলবে। আলোচনায় এই বিষয়গুলি কতদূর করা গিয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
এর আগে দুই সেনাবাহিনীর স্থানীয় কমান্ডারদের মধ্যে ১২ দফা আলোচনার হয়েছিল বলে খবর রয়েছে। এছাড়া মেজর জেনারেল পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের মধ্য়েও তিন দফা আলোচনা হয়। একদিন আগেই দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক স্তরেও লাদাখ সীমান্ত উত্তেজনা নিয়ে একদফা আলোচনা হয়েছিল। সেখানে দুই দেশ সংবেদনশীলতা ও উদ্বেগকে সম্মান জানিয়ে শান্তিপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমে তাদের মতভেদগুলি মেটাতে সম্মত হয়েছিল। তারপর হল এদিনের এই উচ্চ-স্তরের সামরিক বৈঠক।