
কয়লা পাচারচক্রের মামলায় আবারও অ্যাকশনে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ED। শুক্রবার সকালেই ঝাড়খণ্ড ও পশ্চিমবঙ্গের প্রায় ৪০ টি জায়গা একযোগা হানা দেয় ইডির অফিসাররা। যারমধ্যে রয়েছে দুই রাজ্যের ব্যবসায়ী, ঠিকাদার, শিল্পপতিদের বাড়িও। একই দিনে কলকাতায় চারটি জায়গায় আর্থিক প্রতারণা মামলার তদন্ত শুরু করেছে ইডি।
কয়লা মাফিয়া চক্রের বিরুদ্ধে বড়সড় অভিযানে নেমে, এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) শুক্রবার ঝাড়খণ্ড ও পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে ৪০টিরও বেশি জায়গায় একযোগে অভিযান চালিয়েছে। ইডি-র রাঁচি এবং কলকাতা জোনাল অফিস, এই কয়লা মাফিয়াদের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে শুক্রবার ভোর থেকে আলাদাভাবে এই অভিযান শুরু করে। অভিযান চালানো জায়গাগুলোর মধ্যে সন্দেহভাজনদের বাসস্থান, অফিস এবং অন্যান্য সম্পর্কিত স্থানও রয়েছে।
ঝাড়খণ্ড ও পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য পুলিশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সমন্বয় রেখে এই তল্লাশি অভিযান চলছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কর্মকর্তারা এএনআই-কে জানিয়েছেন, "এটি ঝাড়খণ্ড ও পশ্চিমবঙ্গের কয়লা মাফিয়াদের বিরুদ্ধে ৪০টিরও বেশি জায়গায় একটি সমন্বিত অভিযান।"
ইডি-র রাঁচি জোনাল অফিস ঝাড়খণ্ড জুড়ে ১৮টি জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে, যা কয়লা চুরি এবং পাচারের বেশ কয়েকটি বড় মামলার সঙ্গে সম্পর্কিত। এর মধ্যে অনিল গোয়েল, সঞ্জয় উদ্যোগ, এলবি সিং এবং অমর মণ্ডলের মতো কিছু ব্যক্তির বিষয়ও রয়েছে।
কর্মকর্তারা বলেছেন, "এই মামলাগুলির সম্মিলিত পরিমাণ বিশাল, যেখানে প্রচুর পরিমাণে কয়লা চুরি হয়েছে, যার ফলে সরকারের শত শত কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে বলে অনুমান করা হচ্ছে।"
এই অভিযানে নরেন্দ্র খারকা, অনিল গোয়েল, যুধিষ্ঠির ঘোষ, কৃষ্ণ মুরারি কয়াল এবং অন্যান্যদের সম্পর্কিত চত্বরগুলিতেও তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
অন্যদিকে, ইডি-র কলকাতা জোনাল অফিস পশ্চিমবঙ্গের দুর্গাপুর, পুরুলিয়া, হাওড়া এবং কলকাতা জেলায় ২৪টি চত্বরে অবৈধ কয়লা খনন, অবৈধ পরিবহন এবং কয়লা মজুত করার মামলার সঙ্গে যুক্ত তল্লাশি চালাচ্ছে।