
Enumeration Form Edit News: এসআইআর-এর প্রক্রিয়ায় অতিরিক্ত সময় দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। আর এই অতিরিক্ত সময়কে সঠিক ভাবে কাজে লাগাতে এনুমারেশন ফর্মের ভুল এন্ট্রি সংশোধনের কাজে জোর দিচ্ছে কমিশন। জানানো হয়েছে, বিএলও ও ইআরও'দের এই সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। ভোটারদের তথ্য ডিজিটাল ভাবে আপলোডের সময় অনেক ক্ষেত্রেই ভুল এন্ট্রি হওয়ার অভিযোগ উঠতে শুরু করেছিল। তার প্রেক্ষিতেই তথ্য সংশোধনের পদক্ষেপ নিয়েছে কমিশন।
বিশেষ বিষয় হল, তথ্যে কোনও ভুল থাকলে তা আগেও সংশোধনের সুযোগ রাখা হয়েছিল। শুনানিপর্বে সব তথ্য যাচাই করে ফাইনাল লিস্ট তৈরি করার প্রক্রিয়ার ব্যবস্থা আগে থেকেই স্থির ছিল। কিন্তু, এবার তারও আগে ভুল সংশোধন করার সুযোগ পাবে বিএলও ও ইআরও-রা।
রাজ্যে জোরকদমে চলছে এসআইআরের কাজ। তবে পরিস্থিতির জটিলতা বুঝে সময়সীমা বাড়িয়েছে নির্বাচন কমিশন। এখনও ফর্ম পূরণ ও জমা দেওয়ার কাজ চলছে। পাশাপাশি বিশেষ অ্যাপের মাধ্যমে সেই ফর্ম আপলোড করছেন বিএলওরা। অনেকক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে আপলোডের সময় কিছু ভুল থেকে যাচ্ছে। এতদিন তা সংশোধনের উপায় ছিল না। তবে আজ, সোমবার থেকে বিএলও অ্যাপে এডিট অপশন মিলবে বলেই জানাল নির্বাচন কমিশন। তবে বিএলওরা তা করতে পারবেন না। বিএলওরা ফর্ম আপলোডে ভুল করলে তা শুধরে নিতে পারবেন ERO এবং AERO’রা।
প্রসঙ্গত, প্রথমে বিএলও অ্যাপে ছিল এডিট অপশন। পরবর্তীতে তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। যদিও তারপর কমিশন জানিয়েছিল, অ্যাপে তথ্য সংশোধনের সুযোগ দেওয়া হবে। সেই মতোই এবার চালু করা হচ্ছে এডিট অপশন। বিরোধীরা বারবার দাবি করেছে, বিএলও-দের চাপ দিয়ে ভুয়ো নাম এন্ট্রি করানো হচ্ছে। তবে কি সেই কারণেই ফের এডিট অপশন আনল কমিশন? প্রশ্ন ওয়াকিবহাল মহলের।
অন্যদিকে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই শেষ করতে হবে এসআইআর-এর কাজ। কড়া বার্তা দেওয়ার পরও আচমকাই স্পেশাল ইন্টেনসিভ রিভিশন প্রক্রিয়ার সময়সীমা বাড়িয়ে দিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। তবে হঠাৎ কেন এই সিদ্ধান্ত সেই বিষয়ে অবশ্য এখনও পর্যন্ত বিস্তারিত তথ্য জানা যায়নি।
বিজ্ঞপ্তি জারি করে কমিশন জানিয়েছে, ৪ ডিসেম্বর নয় ১১ ডিসেম্বর শেষ হবে এসআইআরের ফর্ম পর্ব। ৯ ডিসেম্বরের পরিবর্তে খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ ১৬ ডিসেম্বর। নতুন ভোটাররা নাম অন্তর্ভুক্ত করার জন্য ১৬ ডিসেম্বর থেকে ১৫ জানুয়ারি আবেদন করতে পারবেন। ৭ ফেব্রুয়ারির পরিবর্তে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ হবে ২০২৬ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি। পশ্চিমবঙ্গ সহ দেশের ১২ রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ক্ষেত্রেই এই সময়সীমা প্রযোজ্য হবে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।