
মহিলাদের বিরুদ্ধে আপত্তিকর বক্তব্যের জন্য বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ এবং কংগ্রেস নেত্রী সুপ্রিয়া শ্রীনেটকে তিরস্কার করেছে নির্বাচন কমিশন। কমিশন উভয় নেতাকে তাদের বক্তব্যের বিষয়ে সতর্ক থাকার জন্য বলেছেন। কমিশন এরপর থেকে নির্বাচনের সময় তাদের উপর বিশেষ নজর রাখবে। নির্বাচন কমিশন এই দুই নেতাকে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে দোষী সাব্যস্ত করেছে এবং ভবিষ্যতে জনসাধারণের বক্তব্যের ব্যাপারে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বনের নির্দেশ দিয়েছে।
কমিশন বিবৃতি সম্পর্কে সতর্কতা অবলম্বন
বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ এবং কংগ্রেস নেত্রী সুপ্রিয়া শ্রীনেটের বক্তব্যের বিষয়ে, নির্বাচন কমিশন উভয় নেতাকে নোটিশ জারি করেছিল এবং তাদের উত্তর চেয়েছিল। তাদের প্রতিক্রিয়ায় উভয় নেতাই স্বীকার করেছেন যে তারা নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন এবং ব্যক্তিগত আক্রমণ করেছেন। জবাব পাওয়ার পর কমিশন উভয় নেতাকে সতর্ক করে বলেছে, ভবিষ্যতে প্রকাশ্যে বিবৃতি দেওয়ার ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। এছাড়াও নির্বাচনকালীন দুই নেতার বক্তব্য নির্বাচন কমিশন বিশেষভাবে পর্যালোচনা করবে। কমিশন বলেছে যে এটি নিশ্চিত যে উভয় নেতাই নিম্ন স্তরের ব্যক্তিগত আক্রমণ করেছেন এবং এটি আদর্শ আচরণবিধির বিধান লঙ্ঘন। তাকে আদর্শ আচরণবিধির সময় পাবলিক বিবৃতিতে সতর্কতা অবলম্বন করার জন্য সতর্ক করা হয়েছে। সোমবার থেকে এই দুই নেতার নির্বাচনী যোগাযোগের ওপর বিশেষ ও বাড়তি নজরদারি রাখবে কমিশন।
নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন এবং আপত্তিকর বক্তব্যের বিষয়ে তাদের দলের নেতাদের সতর্ক করার জন্য কমিশন তাদের সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তির একটি অনুলিপি দলীয় সভাপতিদের কাছেও পাঠিয়েছে।
দুই নেতাই মহিলাদের নিয়ে আপত্তিকর বক্তব্য রেখেছেন
কংগ্রেস নেতা সুপ্রিয়া শ্রীনেট সোশ্যাল মিডিয়ায় ফিল্ম অভিনেত্রী এবং হিমাচল প্রদেশের মান্ডি আসন থেকে বিজেপি প্রার্থী কঙ্গনা রানাউত সম্পর্কে পোস্ট করেছিলেন। এ নিয়ে বিতর্ক দেখা দেয় এবং এ নিয়ে কংগ্রেস নেতাকে ঘিরে ধরে বিজেপি। পরে সুপ্রিয়া শ্রীনেটকে তার বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিতে হয়েছিল। অন্যদিকে নির্বাচনী প্রচারে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে আপত্তিকর মন্তব্য করেছিলেন বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ। যার পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশন দিলীপ ঘোষ এবং সুপ্রিয়া শ্রীনেটকে নোটিশ জারি করে তাদের জবাব চেয়েছে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।