বাইক-স্কুটার নাই বা থাক, অফিসে হেলমেট পরতেই হবে, এটাই অলিখিত নিয়ম

  • উত্তরপ্রদেশের বান্দা শহরের বিদ্যুত অফিস
  • এখানকার কর্মীরা সারা বছর হেলমেট পরেই কাজ করেন
  • না, ট্রাফিক জরিমানার আতঙ্ক তাঁদের গ্রাস করেনি
  • এর পিছনে আছে মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ার ভয়

 

amartya lahiri | Published : Nov 4, 2019 10:32 AM IST / Updated: Nov 04 2019, 04:09 PM IST

সরকারি বিদ্যুত বিভাগ। ঘরভর্তি ব্যস্ত কর্মী। টেবিলে তাদের ফাইলের স্তূপ। একের পর এক কাগজে প্রয়োজনীয় তথ্য লিখছে, নাহলে সই করছেন। এই অবধি কোনও অস্বাভাবিকতা না থাকলেও যেই কর্মীদের মুখের দিকে তাকানো হবে তখনই ধাক্কা লাগবে। কারণ সকলেই কাজ করছেন মাথায় হেলমেট পরে।

বিদ্যুত বিভাগের অফিসের এইরকম ছবিটা দেখা যাবে উত্তরপ্রদেশের বান্দা শহরে। ভারতে ট্রাফিক আইন সংশোধন করে জরিমানার পরিমাণ বাড়ানোর পর থেকে, বিভিন্ন স্থানে ট্রাফিক জরিমানা আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। তাহলে কি এখানকার বিদ্যুতকর্মীদের সেই আতঙ্কই গ্রাস করেছে?

না, এর পিছনে রয়েছে সরকারি পরিকাঠামোর ঝুরঝুরে অবস্থা। ওই অফিসের কর্মীরা জানিয়েছেন, যে ভবনে আপাতত বিদ্যুত দপ্তরের কর্মীরা বসেন, সেটি বহু পুরোনো। দীর্ঘদিন বাড়িটিতে কোনও সংস্কারও হয়নি। ফলে মাঝে মাঝেই চাঙর খসে পড়ে। এর আগে মাথায় চাঙর পড়ে এক কর্মী আহতও হয়েছেন। তারপর থেকে এই অফিসে এটাই রীতি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এক কর্মী জানিয়েছেন তিনি প্রায় দুই বছর আগে এই অফিসে কাজ করতে এসেছিলেন। প্রথমেই তাঁকে একটি হেলমেট কিনতে হয়েছিল। কারণ কাজের সময়, সবসময় আতঙ্কে থাকতে হয়, এই বুঝি মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ল। তাই কাজে মনও দেওয়া যায় না। কর্মীদের দাবি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে তাঁরা বারবার জানিয়েছেন, কিন্তু কোনও কাজ হয়নি। তাই স্কুটার বা মোটরবাইক থাকুক না থাকুক, বান্দার বিদ্যুত অফিসে কাজ করতে গেলে হেলমেট থাকাটা আবশ্যিক।

 

Share this article
click me!