জারি রয়েছে মৃত্যু মিছিল। এর শেষ কোথায় তা কেউ জানে না। বিহারে অ্যাকিউট এনকেফালাইটিস সিনড্রোম-এর জেরে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৪১-এ।
এখনও পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী, বিহারের কম-বেশি প্রায় ১৮টি জেলায় ছড়িয়ে পড়েছে মারণ রোগ এনকেফালাইটিস। তবে আক্রান্তের সংখ্যা সবথেকে বেশি বিহারের মুজঃফরপুরে। সেখানে এখনও পর্যন্ত ৪৩৭ জন শিশু এই রোগের শিকার হয়েছে, যার মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৮৫ জনের।
এদিন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের অতিরিক্ত সচিব মনোজ জালানির নেতৃত্বে একটি কেন্দ্রীয় গঠন করা হয়েছিল। শুক্রবারদিন ওই দলটি মুজঃফরের উদ্দেশ্য রওনা দিয়েছিল। তাঁদের পরামর্শ ছিল যে, শ্রীকৃষ্ণ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চারটি পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে যাতে প্রয়োজনীয় সবরকম মেডিক্যাল পরীক্ষার সরঞ্জাম উপলব্ধ থাকে।
আর এরপরেই ওই কেন্দ্রীয় দলের উদ্যোগে পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে এক্স-রে মেশিন, পোর্টবল আলট্রাসনোগ্রাফি এবং ইলেকট্রোলাইট টেস্টারের ব্যবস্থা করা হয়। কেন্দ্রীয় দলের তরফে আরও নির্দেশ দেওয়া হয়, যাতে অসুস্থ শিশুদের কোনওভাবেই প্রয়াজনীয় পরীক্ষাগুলি বাইরে থেকে না করানো হয়।
এদিন রাজ্যসভায় বিরোধী দলের পক্ষ থেকে দাবি জানানো হয়েছিল যে বিহারে এনকেফালাইস-এর ফলে মৃত্যু কারণ খতিয়ে দেখতে সরকারের উচিত অবিলম্বে এর তদন্ত শুরু করা। প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী হর্ষ বর্ধন জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মুজঃফরের পরিস্থিতিকে প্রতিনিয়ত নজরে রাখেছেন এবং এরজন্য বিহার সরকারের দিকে সাহায্যের হাতও বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।