সরিয়ে দেওয়া হল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের পুরো মিডিয়া টিমকেই, অমিত শাহ কো গুস্সা কিঁউ আতা হ্যায়

Published : Jun 05, 2020, 04:18 PM IST
সরিয়ে দেওয়া হল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের পুরো মিডিয়া টিমকেই, অমিত শাহ কো গুস্সা কিঁউ আতা হ্যায়

সংক্ষিপ্ত

বাতিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের পুরো মিডিয়া ইউনিটই জানা গিয়েছে একের পর এক ভুল হচ্ছিল দলের তরফে তাই ক্রোধ বাড়ছিল অমিত শাহ-এর তবে সবচেয়ে সমস্য়া তৈরি হয় দ্বিতীয় মোদী সরকারের একবছর পূর্তির দিনে  

সরিয়ে দেওয়া হল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের পুরো মিডিয়া ইউনিট-কেই। জানা গিয়েছে একের পর এক ভুলের ফলে ক্রমেই মিডিয়া ইউনিট-এর উপর ক্রোধ বাড়ছিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ-এর। তাই শুক্রবার বাতিল করা হল এই ইউনিটের সব কর্তাকেই।

এমএইচএর মুখপাত্র তথা ডিরেক্টর জেনারেল বসুধা গুপ্ত এখন থেকে প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো-র ফ্যাক্ট চেক ইউনিটের তত্ত্বাবধান করবেন। ব্যুরো অফ কমিউনিকেশন-এর ডিরেক্টর জেনারেল নীতিন ওয়াকাঙ্কার হচ্ছেন বিজ্ঞাপন ও দৃশ্যগত প্রচার বিভাগের নতুন মুখপাত্র। আর ডেপুটি ডাইরেক্টর বিরাট মজবুরকে অল ইন্ডিয়া রেডিওতে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

পিআইবির ডেপুটি ডাইরেক্টর প্রবীণ কবি-কে ফিরিয়ে আনা হয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে। নতুন মিডিয়া দলে রয়েছেন এডিজি রাজকুমারম, অল ইন্ডিয়া রেডিও-র ডেপুটি ডাইরেক্টর আমনদীপ যাদবও। এই রদবদলে এটা স্পষ্ট যে মিডিয়া ইউনিটের কাজে মোটেই সন্তুষ্ট ছিলেন না অমিত শাহ। কিন্তু কেন?

জানা গিয়েছে একের পর এক ভুলই এর কারণ। যার সর্বশেষটিতে জড়িয়ে রয়েছে বাংলাকে তছনছ করা ঘূর্ণিঝড় আমফান। গত ৭ মে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের ফেসবুক পেজে বাংলায় এনডিআরএফ-র উদ্ধার প্রচেষ্টার ছবি পোস্ট করা হয়েছিল। কিন্তু, তার মধ্য়েই বেশ কিছু মদের বোতলের একটি ছবিও ছিল। পরে জানা যায়, সেটি একটি ব্যক্তিগত ছবি এবং সকলের অজান্তে ভুল করে পোস্ট হয়ে গিয়েছিল। এই নিয়ে পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষমাও চায় মন্ত্রক।

এছাড়া ছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের মিডিয়া দলের কার্যকলাপ নিয়ে সাংবাদিকদের অসন্তোষ। একের পর এক খবরকে তারা ভুয়ো বলে দাগিয়ে দিয়েছে। সবচেয়ে বড় কথা হল যে প্রক্রিয়ায় সেটা করা হয়েছে তাতেই সাংবাদিকদের একাংশ দারুণ অসন্তুষ্ট। স্বাভাবিক প্রক্রিয়া হল সংশ্লিষ্ট মিডিয়া হাউসে এই বিষয়ে একটি রিজয়েন্ডার বা প্রতিবাদপত্র দেওয়া। তা না করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের মিডিয়া দল সাংবাদিকদের নাম ধরে ধরে সোশ্য়াল মিডিয়ায় তা প্রকাশ করছিল। এই নিয়ে তীব্র আপত্তি জানান একাংশের সাংবাদিক।

তবে অমিত শাহ-এর রাগের সবচেয়ে বড় কারণ হল, দ্বিতীয় নরেন্দ্র মোদী সরকারের এক বছর পূর্ণ হওয়ার দিন তাদের ব্যর্থতা। ওইদিন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কৃতিত্ব প্রচার করতে গিয়ে নাগরিকত্ব সংশোধন আইন বা সিএএ-কেই সেই কৃতিত্বের তালিকায় রাখেনি মিডিয়া দল। যা বেশ কিছু সংবাদমাধ্যমে ফলাও করে জানানোও হয়েছিল। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের প্রচারপত্রে সিএএ-কে অন্তর্ভুক্ত করা হলেও ওই ঘটনায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, এমনকী প্রধানমন্ত্রীও অত্যন্ত চটে গিয়েছিলেন বলেই খবর।

 

PREV
click me!

Recommended Stories

LIVE NEWS UPDATE: Messi in Kolkata - শুক্রবার মধ্যরাতে কলকাতায় পৌঁছলেন 'এলএম১০', শহর জুড়ে উত্তেজনা তুঙ্গে
ভারতের উপর ট্রাম্পের ৫০% শুল্ক প্রত্যাহার? মার্কিন কংগ্রেসে প্রস্তাব পেশ তিন সদস্যের