স্বামীর সঙ্গে গিয়েছিলেন সমুদ্রের হাওয়া খেতে
সঙ্গে ছিল দুই সন্তানও
বেড়ানো পরিণত হল বিভীষিকায়
স্বামী ও তার বন্দুদের হাতেই গণধর্ষিতা মহিলা
হাতি হত্যার নক্কারজনক ঘটনা নিয়ে দেশ জুড়ে প্রতিবাদের মধ্যেই ফের এক ভয়ঙ্কর অমানবিক ও মর্মান্তিক ঘটনার খবর এল কেরল থেকে। ২৫ বছরের এক গৃহবধুকে জোর করে মদ খাইয়ে গণধর্ষণ করল তাঁর স্বামী ও তার চার বন্ধু। তাও আবার দুই সন্তানের সামনে। পুলিশ অবশ্য রাতেই তাঁর স্বামী-সহ অভিযুক্ত পাঁচজনকেই গ্রেফতার করেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায়, রাজধানী তিরুঅনন্তপুরম থেকে মাত্র ২০ কিলোমিটার দূরে কাড়িনামকুলাম এলাকায়। মহিলার বয়ান অনুযায়ী বৃহস্পতিবার বিকেলে তাঁর স্বামী কাড়িনামকুলামে এক বন্ধুর বাড়ি বেড়াতে নিয়ে গিয়েছিলেন তাঁকে। সঙ্গে ছিল তাঁর দুই সন্তান-ও। সমুদ্রের ধারেই ওই বন্ধুর বাড়ি,লকডাউনের পর বেলাভূমিতে কিছুটা সময় উপভোগ করবে বলেছিল তাঁর স্বামী। তাঁরা যখন সেখানে পৌঁছান, স্বামীর বাকি বন্ধুরাও ওই বন্ধুর বাড়িতেই ছিল।
সকলে মিলেই গিয়েছিলেন সমুদ্রতটে। মহিলার অভিযোগ এরপর একরকম জোর করেই তাঁকে মদ খাওয়ানো হয়। তারপর স্বামী ও তার বন্ধুরা মিলে ওই মহিলাকে টানতে টানতে নিয়ে যায় কাছের এক ঝোপঝাড়ে ঢাকা এলাকায়। সেখানে নিয়ে গিয়েই শুরু হয় তাঁর উপর যৌন নির্যাতন। তাঁর বড় ছেলের মাত্র পাঁচ বছর বয়স। মাকে ওই অবস্থায় দেখে সে তার বাবা ও ববাবার বন্ধুদের বাধা দিতে গিয়েছিল। তাকেও মারধর করা হয়, বলেই অভিযোগ ওই মহিলার।
এরপর সংজ্ঞা হারিয়েছিলেন তিনি। হুঁশ ফেরে ছেলের কান্নার আওয়াজে। চোখ মেলে দেখেছিলেন বড় ছেলে তাঁর পাশে বসে কাঁদছে। আর ছোটটি তার বাবার কাছে। ওই অবস্থায় তাঁর স্বামী ও তার বন্ধুদের দিকে আর যাননি নির্যাতিতা। চেনা সেই মানুষগুলোর থেকেও আপন হয়ে ওঠে রাস্তা দিয়ে যাওয়া সম্পূর্ণ অপরিচিত দুই যুবক। তাঁদের সাহায্য়েই তিনি বড় ছেলেকে নিয়ে ঘরে ফেরেন তিনি। স্বামী এসে পৌঁছান রাতে। এসেই তাঁকে পুলিশে অভিযোগ না করার জন্য হুমকি দেন।
স্বামীর সেই হুমকিতে অবশ্য তিনি পিছিয়ে যাননি। রাতেই তিনি পুলিশে স্বামী ও তার চার বন্ধুর বিরুদ্ধে গণধর্ষণের অভিযোগ করেন। পুলিশের পক্ষ থেকেই ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আর সেইসঙ্গে গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্ত পাঁচজনকেই।