কেরল সোনাপাচারকাণ্ডে চাপ বাড়ছে বাম সরকারের ওপর, ইডির হাতে গ্রেফতার বিজয়নের প্রাক্তন সচিব

  • কেরলের মুখ্যমন্ত্রীর প্রাক্তন মুখ্যসচিবকে গ্রেফতার করল ইডি 
  • নার্সিংহোম থেকেই নিয়ে যাওয়া হয় ইডির অফিসে 
  • আগেই হাইকোর্ট জামিনের আবেদন খারিজ করেছিল 
  • কোচির অফিসে আধিকারিককে জেরা করা হচ্ছে 
     

Asianet News Bangla | Published : Oct 28, 2020 10:12 AM IST / Updated: Oct 28 2020, 03:49 PM IST

সোনার পাচারকাণ্ডে আরও বিপাকে পড়ল কেরলেন পিনারাই বিজয়ন সরকার। আগেই কেরল হাইকোর্ট রাজ্যের  মুখ্যমন্ত্রীর প্রাক্তন মুখ্যসচিব এম শিবশঙ্করের অন্তবর্তী জামিনের আবেদন খারিজ করেদিয়েছিল। বুধবার তিরুবন্তপুরমের একটি হাসপাতাল থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট বা ইডি। সোনা পাচারকাণ্ডে নাম জড়িয়ে যাওয়ার কারণে তাঁকে সাসপেন্ড করেছিল কেরল সরকার। 


রাজ্যের রাজনীতিকে কেন্দ্র করেই চলত সোনা পাচার। বেশ কয়েক মাস ধরেই এই ঘটনার তদন্ত করছে ইডি, জাতীয় তদন্ত সংস্থা বা এনআইএ এবং শুল্কবিভাগ। তদন্তকারীদের দাবি জুলাই মাসে কূটনৈতিক চ্যানেলগুলিকে কাজে লাগিয়ে প্রায় ৩০ কেজি সোনা কেরলে পাচার করা হয়েছে। ফাঁকি দেওয়া হয়েছে শুল্কে। গত জুলাই মাসে আরব আমিরশাহী থেকে তিরুবন্তপুরম বিমান বন্দরে প্রায় ১৪ কেজি সোনা পাচার করা হয়েছে। আরব আমিরশাহীর কনস্যুলেট থেকে ব্যাগটি পাঠান হয়েছিল। সেই কারণে প্রথমে ব্যাগটিকে সন্দেহের বাইরে রাখা হয়েছিল। কিন্তু পরে ব্যাগটি তল্লাশি চালান হয়। তখনই উদ্ধার হয় বেআইনি সোনা। 


তারপরই তদন্তে নামে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলি। সেই সময়ই নাম জড়িয়ে পড়ে বিজয়নের প্রাক্তন মুখ্য সচিব এম শিবশঙ্করের। এর আগেই কেন্দ্রীয় সংস্থা একাধিকবার জেরা করে এই আইএএস অফিসারকে। বর্তমানে অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে তিনি তিরুবন্তপুরমের ত্রিবেণী নার্সিংহোমে ভর্তি ছিলেন। সেখান থেকেই তাঁকে নিজেদের হেফাজতে নেয় ইডি। তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ইডির কোচির অফিসে। একটি সূত্র বলছে গ্রেফতার হওয়ার আশঙ্কা করেই তিনি আগাম জামিনের জন্য কেরল হাইকোর্টে আবেদন জানিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর সেই আবেদন নাকচ করে দিয়েছিল উচ্চ আদালত। তিনি আদালতে বলেছেনি তাঁকে ৯০ ঘণ্টারও বেশি সময় জেরা করা হয়েছে। মিডিয়া তদন্তকারী সংস্থাগুলির ওপর চাপ তৈরি করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। 


যদিও ইডির অভিযোগ ছিল আইএএস অফিসার যে নার্সিংহোমে ভর্তি রয়েছে সেখানে তাঁর স্ত্রী কর্মরত। তাই একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদ এড়িয়ে গেছেন তিনি। নোটিশ দিয়েও কোনও লাভ হয়নি বলে অভিযোগ করে ইডি। 

সোনাপাচারকাণ্ড সামনে আসতেই এস শিবঙ্করকে সরিয়ে দেওয়া হয় দায়িত্ব থেকে। সোনাপাচারকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে বলেও অভিযো উঠেছে। সোনা পাচারকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত স্বপ্ন সুরেশের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতা ছিল বলেও অভিযোগ রয়েছে। এস শিবঙ্করের সাহায্যেই মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয়ে স্বপ্ন সুরেশের আবাধ যাতায়াত ছিল। আর তাঁর মাধ্যমে স্বপ্না সুরেশ কেরল সরকারের অন্দরের খবর পেত। 


 

Share this article
click me!