লাভ জিহাদ কাণ্ডের দিন পনেরো আগেই গত বাড়ি পরিবর্তন করেন আফতাবের পরিবার। গত ২০ বছরের বাসস্থান হঠাৎ পরিবর্তন করার সিদ্ধান্ত কেন ? তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন
গত ২০ বছর ধরে মুম্বাই মুম্বাই থেকে অনেক দূরে ভাসাইয়ের এক আবাসনে থাকতেন আফতাবের পরিবারের। কিন্তু দিন পনেরো আগে সেই বাসা ত্যাগ করেন তারা।হঠাৎ কেন বাসা পরিবর্তন করলেন তারা ? তবে কি শ্রদ্ধার হত্যা কাণ্ডে কোথাও জড়িত আফতাবের পরিবারও ? উঠছে প্রশ্ন।
প্রতিবেশীরা জানান ওই বাড়িতে প্রায় ২০ বছর ধরে বাস করতেন পুনাওয়ালা পরিবার। এমনকি আফতাবের বড়ো হওয়াও ওই বাসাতেই। হঠাৎ করে বাড়ি পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিলেন কেন তারা ? প্রতিবেশীদের দাবি বাসা পরিবর্তনের দিন সব মালপত্র তাদের হাতে হাতে গাড়িতে তুলে দিতে উপস্থিত ছিলেন আফতাবও। বাসা পরিবর্তনের দিন পরিবারের সঙ্গেই দেখা গেছিলো তাকে। তারপরই প্রকাশ্যে এলো এই মর্মান্তিক খুনের ঘটনা। তবে কি এই দুই ঘটনার মধ্যে আছে কোনো গভীর যোগসূত্র ?
লিভ-ইন সঙ্গীকে শ্রদ্ধাকে গলা টিপে খুন করেন আফতাব । খুনের পর দেহ ৩৫ টুকরো করে ১৮ দিন ধরে ছড়িয়ে দিয়েছিলেন দিল্লির বিভিন্ন প্রান্তে, জানিয়েছে পুলিশ। শনিবার আফতাবকে গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিশ। আদতে ভাসাইয়ের বাসিন্দা আফতাবের প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, শেষ বার যখন বাড়ি এসেছিলেন তরুণ, তখন ‘বেশ স্বাভাবিক’ ছিলেন। তাঁরা এ-ও দাবি করেছেন, যে অতীতে বেশ কয়েক বার শ্রদ্ধাকে নিয়ে এসেছিলেন তার ভাসাইয়ার বাড়িতে।
ভাসাইয়ের ওই আবাসনের চেয়ারম্যান রামদাস কেওয়াত বলেন, ‘‘গত ২০ বছর ধরে এই আবাসনে থাকে আফতাবের পরিবার। তিনি এখানে বড় হয়েছেন। আমরা হতবাক।’’ আফতাবের এক প্রতিবেশী জানিয়েছেন, আফতাবের বাবা মুম্বইতে কর্মরত। তাঁরা কেন ওই আবাসন ছেড়ে চলে যাচ্ছেন, সেই প্রশ্ন করেছিলেন প্রতিবেশীরা। তখন আফতাবের বাবা জানিয়েছিলেন, তিনি সপরিবারে মুম্বই চলে যাচ্ছেন।
ওই আবাসনের সচিব আবদুল্লা খান বলেন, ‘‘আফতাবের ছোট ভাই সম্প্রতি মুম্বইতে চাকরি পেয়েছিলেন । একথা শুনে তিনি জিজ্ঞাসা করেছিলেন , আবাসন ছেড়ে চলে যাচ্ছেন কেন আপনারা ? আফতাবের বাবা তখন জানান , তিনি এবং ছোট ছেলে দুজনই মুম্বইতে চাকরি কর্মরত হাওয়ায় সেখান থেকে অফিস যাতায়াতের সুবিধার জন্য তারা সপরিবারে মুম্বাই চলে যাচ্ছেন।
আরও পড়ুন
হোয়াইট হাউসে প্রচার অভিযান ডোনাল্ড ট্রাম্পে, রিপাবলিকানদের বশে আনতে নয়া উদ্যোগ
ভারতে হোয়াটসঅ্যাপের প্রধান কর্তা অভিজিৎ বসু পদত্যাগ, সঙ্গে সরলেন আরও অনেক ভারতীয়