বিয়ের আসর বসেছিল ঝাড়খণ্ডের রাঁচিতে। বিয়ের আসরে উপস্থিত হয়েছিল বর ও কনে - তাদের পরিবারের সঙ্গে। হিন্দু রীতি অনুযায়ী মালা বদলের অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই ঘটে যায় বিপত্তি। পাত্র পক্ষ হঠাৎই পণের টাকা বাড়িয়ে দেওয়ার দাবি জানায়।
পণপ্রথার অভিশাপ এখনও রয়েছে তার আরও একটি উদাহরণ ঝাড়খণ্ডের সাম্প্রতীক ঘটনা। বিয়ের আসর থেকেই বাতিল হয়ে গেল বিয়ে। পাঁচ লক্ষ টাকা ও বেশকিছু সোনার গয়না পণের দাবিকে কেন্দ্র করে বর ও কনে দুই পক্ষই হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েছিল। বর্তমানে গোটা ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ। তবে পুলিশ এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত বিস্তারিত কিছু জানায়নি।
বিয়ের আসর বসেছিল ঝাড়খণ্ডের রাঁচিতে। বিয়ের আসরে উপস্থিত হয়েছিল বর ও কনে - তাদের পরিবারের সঙ্গে। হিন্দু রীতি অনুযায়ী মালা বদলের অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই ঘটে যায় বিপত্তি। পাত্র পক্ষ হঠাৎই পণের টাকা বাড়িয়ে দেওয়ার দাবি জানায়। পাত্র পক্ষের নতুন দাবি ছিল পাঁচ লক্ষ টাকা নগদ ও সঙ্গে আরও বেশি কিছু সোনার গয়না। কিন্তু হঠাৎ করে এই দাবি মানতে রাজি ছিল না পাত্রী পক্ষ। তাই নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে প্রথমে বচসা বাধে। তারপরই চলে যায় হাতাহাতির পর্যায়ে। রীতিমত সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে পাত্র ও পাত্রী পক্ষ। তারপরই আচমকাই বিয়ে বাতিল করে দেয় পাত্রী পক্ষ। মাল্যদানের আগেই ভেঙে যায় বিয়। পাত্রকে নিয়ে খালি হাতেই ফিরে যায় পাত্র।
এখানেই শেষ নয়- পণ নিষেধাজ্ঞা আইনের প্রাসঙ্গিক ধারাগুলি দিয়ে পাত্রী পক্ষ অফিযোগ দায়ের করে। পাত্র ও তার পরিবারের বিরুদ্ধ দায়ের করা হয় অভিযোগ। বর্তমানে গোটা বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছে পুলিশ।
শুক্রবার রাঁচির মহাবীরচকের কাছে একটি ব্যাঙ্কোয়েট হলে বসেছিল বিয়ের আসর। পাত্রী পক্ষ বিয়ের জন্য আগেই যৌতুক হিসেবে আড়াইলক্ষ টাকা দিয়েছিল। সঙ্গে আরও বেশ কিছু নগদ টাকা সোনার আংটি, দু-চাকার গাডি ও একটি সোনার চেন পাত্রকে দেওয়া হয়েছিল। পাশাপাশি ঘর সাজানোর জন্য একাধিক বিলাসবহুল সামগ্রীও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তাতে সন্তুষ্ট হয়নি পাত্র পক্ষ। তাদের দাবি ছিল আরও সোনার গয়না ও নগদ পাঁচ লক্ষ টাকা।
শুক্রবার বিয়ের আসরেই নতুন করে পণের দাবি করে বসে পাত্র পক্ষ। যা মানতে রাজি ছিল না পাত্রী পক্ষ। তা নিয়ে নতুন করে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়ে দুই পক্ষ। সেই সময় দুই পক্ষই একে অপরকে চেয়ার ছুঁড়ে মারে বলেও অভিযোগ উঠেছে। এরই মধ্যে বর জোর করে কনেকে সিদুঁর পরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু কনেকে নিয়ে সরে যায় পাত্রী পক্ষ। কয়েক ঘণ্টা ধরে বিয়েবাড়িতে হুলুস্থুল পড়ে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। তারপরই খালি হাতে ফিরে যেতে হয় বরযাত্রীদের।