প্রবল বর্ষণে অসমের বন্যায় ৩ জনের মৃত্যু, ক্ষতিগ্রস্থ ২৫ হাজার মানুষ, লাইন উপড়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন

প্রবল বর্ষণের মাঝেই অসমের ভয়াবহ বন্যায় ৩ জনের মৃত্যু। নিহতদের মধ্যে একজন মহিলাও রয়েছেন বলে খবর।   বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ ছয় জেলার প্রায় ২৫ হাজার মানুষ।  

Web Desk - ANB | Published : May 15, 2022 8:19 AM IST / Updated: May 15 2022, 06:37 PM IST

প্রবল বর্ষণের মাঝেই অসমের ভয়াবহ বন্যায় ৩ জনের মৃত্যু। নিহতদের মধ্যে একজন মহিলাও রয়েছেন বলে খবর। ডিমাওহাছাও জেলায় ভূমি ধ্বংস নেমে ওই মহিলার মৃত্যু হয়।  বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ ছয় জেলার প্রায় ২৫ হাজার মানুষ। উপড়ে গিয়ে ট্রেনের লাইন। গুয়াহাটি ও শিলচরের সংযোগকারী রাস্তাগুলি ধুয়ে গিয়েছে। বিচ্ছিন্ন পরিবহণ ব্যবস্থা। বন্ধ ট্রেন চলাচল। শুধুই আকাশপথে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে। এদিকে তার মাঝেই আইএমডি পক্ষ থেকে ভারী বর্ষণ নিয়ে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। আগামী কয়েকদিন অসমে ভারী বৃষ্টি চলবে। 

আরও পড়ুন, বড়সড় সুখবর, সময়ের আগেই আসছে বর্ষা, আজ থেকেই তেড়েফুঁড়ে বৃষ্টি বঙ্গে

উল্লেখ্য, অসমে ছাড়াও গত দুইদিন ধরে অবিরাম বৃষ্টি হচ্ছে মেঘালয়, অরুণাচলপ্রদেশে। যার জেরে নদীর জল ফুলে ফেঁপে উঠেছে। একাধিক নদীর জল বিপদসীমার উপ দিয়ে বইছে। অসমের বিপর্যয় মোকাবিলা কর্তৃপক্ষের মতে ১৪ মে পর্যন্ত ছয় জেলার ৯৪ গ্রামের ২৮ হাজার ৬৮১ জন বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। বন্যায় ১ হাজার ৭৩২ হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ ২৫ হাজার লোকের মধ্যে ২৪ হাজারই কাছাড় জেলার। এই জেলার নিরাপত্তা বাহিনীর লোকজন কাজ করছে।ইতিমধ্য়েই উদ্ধারকার্য শুরু করেছে এনডিআরএফ বাহিনী। শনিবার সেখান থেকে জলবন্দি ২ হাজার ১৫০ জনকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন, জিম প্রশিক্ষক থেকে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী, ইস্তফার পরে এবার কি দলীয় পদে ? মুখ খুললেন বিপ্লব

আইএমডি পক্ষ থেকে ভারী বর্ষণ নিয়ে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। আগামী কয়েকদিন অসমে ভারী বৃষ্টি চলবে। তবে শুধু অসমেই নয়, মেঘালয়-অরুণাচলপ্রদেশেও ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। উল্লেখ্য বিগত কয়েকদিন ধরে টানা বৃষ্টিতে অসম এবং প্রতিবেশী রাজ্য মেঘালয়, অরুনাচলপ্রদেশের লাগাতার বৃষ্টির জেরে কোপিলি সহ একাধিক নদীর জলস্তর বেড়ে গিয়েছে। সংবাদ সংস্থা এএনআই-র তরফে টুইট করা ছবিতে দেখা গিয়েছে, দিমা হাসাও জেলার একটি রাস্তার বেশ কিছুটা অংশ জলের তোড়ে ভেসে যাচ্ছে। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই জেলার ১২টি গ্রাম জলের তোড়ে ধসে গিয়েছে। ৮০টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।  

আরও পড়ুন, 'সীতা'-কে নিয়ে মন্তব্যের জের, কুণাল ঘোষের বিরুদ্ধে চার্জশিট ত্রিপুরা পুলিশের

অসম রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে, ১৪ মে অবধি রাজ্যের ৬ টি জেলা কাচার, ধেমাজি, হোজাইকারবি আংলং নাঁগাও ও কামরুপ জেলার ৯৪ গ্রামের ২৪ ৬৮১ জন মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। চায়ের জমি গুলিও বন্যার জলের তোড়ে ডুবে গিয়েছে। প্রায় ১৭৩২ হেক্টর জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শুধু কাচার জেলাতেই ২১ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জেলা প্রশাসনের পাশাপাশি উদ্ধারকার্যে হাত লাগিয়েছে সেনা-বাহিনী, প্যারামিলিটারি বাহিনী, এসডিআরএফ। 

 

 

 

 

 

Share this article
click me!