দিল্লির উপকণ্ঠে চলা কৃষক বিক্ষোভ ২৮ দিনে পড়ল। কিন্তু এখনও পর্যন্ত আন্দোলনে রাশ টানার কোনও পরিকল্পনা নেই আন্দোলনকারীদের। প্রবল ঠান্ডা উপেক্ষা করেই খোলা আকাশের নিচে চলছে অবস্থান বিক্ষোভ। প্রায়াত প্রধানমন্ত্রী চৌধুরী চরণ সিং-এর জন্মদিন উপল্ক্ষ্যে দেশে পালিত হয় কৃষক দিবস। আর সেই উপলক্ষ্যে আন্দোলনকারী কৃষকরা একগুচ্ছ কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন। আন্দোলনের সমর্থনে এদিন কৃষকরা মধ্যাহ্ন ভোজন করবেন না। একই সঙ্গে দেশবাসীকে তাঁদের সমর্থনে একদিনের জন্য মধ্যাহ্ন ভোজন পরিত্যাগ করার আহ্বান জানিয়েছেন। প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী চৌধুরী চরণ সিং-এর জন্ম বার্ষিকী উপলক্ষ্যে আন্দোলনকারী কৃষকরা তাঁকে স্মরণ করেন। দিল্লি গাজীপুর বর্ডারে তাঁর উদ্দেশ্যে যজ্ঞের আয়োজন করেন তাঁরা।
কৃষকদের এই কর্মসূচিতে সামিল হচ্ছে উত্তর প্রদেশ কংগ্রেস। এদিন কংগ্রেসের কর্মীরা উত্তর প্রদেশে একাধিক কর্মসূচি গ্রহণ করবেন। রাজ্যজুড়ে তাঁরা বিক্ষোভ দেখাবে তারা। কংগ্রেস সমর্থিত ট্রেড ইউনিয়নগুলিও কৃষক আন্দোলনের সমর্থনে এদিন মধ্যাহ্নভোজন পরিত্যাগ করার কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। অন্যদিকে দিল্লির আন্দোলনকারী কৃষকদের সমর্থন জানাতেন ৩ হাজার কৃষক মহারাষ্ট্রের নাসিক থেকে দিল্লির উদ্দেশ্য়ে রওয়ান দিয়েছিলেন। অন্যদিকে কেরলেন মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নও আন্দোলনকারী কৃষকদের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন। তিনি তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহারেরও দাবি জানিয়েছেন।
এদিন দিল্লির আন্দোলনকারী কৃষকদের ৩২টি সংগঠন নিজেদের মধ্যে বৈঠক করে। গতকালই কেন্দ্রীয় সরকারের তাদের একটি চিঠি দিয়েছেন। সেখানে আরও একবার আলোচনার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে জানান হয়েছে, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রক খোলা মনে কৃষকদের সঙ্গে আলোচনায় প্রস্তুত রয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত নিজেদের দাবিতে অনড় রয়েছেন কৃষকরা। তাদের দাবি নতুন তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহার করতে হবে। আর সেই কারণে এদিন একাধিক জায়গায় ঘোরাও কর্মীসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর গতকাল পঞ্জাব ও হরিয়ানার একাধিক কৃষক সংগঠনের সঙ্গে কথা বলেন যাঁরা নতুন তিনটি কৃষি আইন সমর্থন করেছেন। অন্যদিকে এদিন কৃষি মন্ত্রী একটি ইঙ্গিত দিয়েছেন যেখানে কিছুটা হলেও স্পষ্ট হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার এখনই আইন প্রত্যাহারের বিষেয় নিয়ে আলোচনা করেনি। তিনি বলেছেন বর্তমানে আমরা একটি প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে চলছি।