
স্কুল থেকে ফিরতে দেরি করেছিল ছেলে। সামাম্য কারণে এত বড় শাস্তি দিলেন বাবা। এলোপাথাড়ি মারতে মারতে থাকেন ছেলেকে। বুকে, মুখে, পেটে ঘুষি-লাথি মারতে বাকি রাখল ছেলেকে। মারের চোটে লুটিয়ে পড়ে মাটিতে। হাসপাতালে নিয়ে গিয়েও লাভ হল না। মারতে মারতে মেরে ১৪ বছর বয়সী ছেলেকে মেরে ফেলার অভিযোগ উঠল বাবার বিরুদ্ধে। শেষকৃত্য করতে শ্মশানে নিয়ে গিয়েও পার পেল না বাবা। পুলিশ সেখানে পৌঁছে ধরে নিয়ে গেল।
ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার রাতে হায়দরাবাদের ইয়াদাদ্রি ভুবনগিরি জেলার চৌতুপ্পল এলাকায়৷ প্রতিবেশীদের অভিযোগ, ছেলের মৃত্যু হয়েছে বাবার বেধড়ক মারধরের কারণে ৷ চৌতুপ্পল থানা সূত্রে জানা যায়, চৌতুপ্পলের আরেগুডেমের লরিচালক কাট্টা সাইদুলু ও তার স্ত্রী নাগামণি । তাদের তিন ছেলে রয়েছে ৷ এই দম্পতির ছোট ছেলে ভানু প্রসাদ নবম শ্রেণির ছাত্র। পড়ে একটি বেসরকারি স্কুলে ৷ শনিবার একটি অনুষ্ঠান ছিল স্কুলে৷ স্কুলের সেই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করায় তার বাড়ি ফিরতে দেরি হয়ে যায় ৷ জানা যায়, বাড়ি ফিরতেই বাবা ছেলের কাছে জানতে চায়, কেন তার বাড়ি ফিরতে এত দেরি ৷ সেইসময় কাট্টা সাইদুলু মদ্যপ ছিলেন ও রাগে ক্ষোভে ফুঁসছিল বলেই জানা যায় ৷ অভিযোগ, রাগের চোটে ১৪ বছরের ছেলে ভানু প্রসাদকে বুকে, পেটে, মুখে বারবার ঘুষি ও লাথি মারতে থাকে কোনদিক না দেখে ৷ মারের চোটে ছেলেটি অজ্ঞান হয়ে মাটিতে পড়ে যায় ৷ ঘটনার খতা জেনে প্রতিবেশীরা ধরাধরি করে চৌতুপ্পল সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যেতেই জানা যায় বেঁচে নেই ছেলেটি। সাইদুলুর গ্রেফতারের ভয়ে মাঝরাতেই দেহ শ্মশানে নিয়ে যায় আর তখনই সেখানে পৌঁছে যায় পুলিশ। মৃতদেহ ময়নাতদন্তে পাঠিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে সাইদুলুকে। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, একজন মেধাবী ও পরিশ্রমী ছাত্র ছিল ১৪ বছরের ভানু প্রসাদ ৷ পড়াশুনার পাশাপাশি সে চাষের কাজে সাহায্য করত । ভানু প্রসাদের মা নাগামণির অভিযোগের ভিত্তিতে একটি মামলা করেছে পুলিশ ।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।